কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
জাতীয় বুলেটিন
তারিখ: ২১ জুন ২0২৩
২১ জুন ২০২৩ (বুধবার)
সময়কালঃ ২১.০৬.২০২৩ - ২৫.০৬.২০২৩
দেশের বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান (২১ জুন ২০২৩, সকাল ০৬ টা পর্যন্ত ) এবং ২০ জুন ২০২৩ এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ২১ জুন ২০২৩ এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিচে দেওয়া হলো:
সপ্তাহের শেষে (২০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত) আবহাওয়া প্যারামিটারের স্থানিক বন্টন
আবহাওয়া পূর্বাভাস ২০.০৬.২০২৩ হতে ২৫.০৬.২০২৩ পর্যন্ত
NOAA/VIIRS BLENDED NDVI composite for the week. No. 24 (11.06.2023 to 17.06.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VCI composite for the week No. 24 (11.06.2023 to 17.06.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED TCI composite for the week No. 24 (11.06.2023 to 17.06.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VHI composite for the week No. 24 (11.06.2023 to 17.06.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
মূখ্য কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
খুলনা অঞ্চল (জেলাসমূহ: বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা)
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রোগবালাই যেমন ধানের ব্লাস্ট,ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ,বাদামি দাগ এবং পোকামাকড় যেমন মাজরা পোকা, পামরি পোকা, থ্রিপস , পাতামোড়ানো পোকা ইত্যাদির উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। আক্রমণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রনের জন্য কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাঝরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন কতে হবে। আক্রমন দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলতে হবে। পোকা নিধনের জন্য বিঘাপ্রতি ৫টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ১০জি হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে এবং জমিতে অন্যান্য অন্তর্বর্তী পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়া গাছের চারা (যেমন আম, নারকেল, তালগাছ, নিম) রোপণের জন্য অনুকূল।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য বাগানে সুবিধা জনক দূরত্বে ছোট ছোট নালার ব্যবস্থা রাখুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁস যাতে গরম পানিতে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাঙ্গামাটি অঞ্চল (জেলাসমূহ: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি)
ধান আমন
পর্যায়:বীজতলা
পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের পর কৃষকরা চারা রোপণের জন্য মূল জমি প্রস্তুত করতে শুরু করতে পারে।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমন ধানের বপনের কাজ শেষ করুন। আগাছামুক্ত বীজতলা নিশ্চিত করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে চুঙ্গি পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ম্যালাথিওন ২এমএল/লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
ধান আউশ
পর্যায়:দানা জমাট বাঁধা
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে এবং জমিতে অন্যান্য অন্তর্বর্তী পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।
জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে নিষ্কাশন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়া গাছের চারা (যেমন আম, নারকেল, তালগাছ, নিম) রোপণের জন্য অনুকূল।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য বাগানে সুবিধা জনক দূরত্বে ছোট ছোট নালার ব্যবস্থা রাখুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁস যাতে গরম পানিতে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বরিশাল অঞ্চল (জেলাসমূহ: বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর)
ধান আউশ
পর্যায়:দানা জমাট বাঁধা
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে এবং জমিতে অন্যান্য অন্তর্বর্তী পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়া গাছের চারা (যেমন আম, নারকেল, তালগাছ, নিম) রোপণের জন্য অনুকূল।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য বাগানে সুবিধা জনক দূরত্বে ছোট ছোট নালার ব্যবস্থা রাখুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁস যাতে গরম পানিতে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বগুড়া অঞ্চল (জেলাসমূহ: বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ)
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রোগবালাই যেমন ধানের ব্লাস্ট,ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ,বাদামি দাগ এবং পোকামাকড় যেমন মাজরা পোকা, পামরি পোকা, থ্রিপস , পাতামোড়ানো পোকা ইত্যাদির উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। আক্রমণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রনের জন্য কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাঝরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন কতে হবে। আক্রমন দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলতে হবে। পোকা নিধনের জন্য বিঘাপ্রতি ৫টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ১০জি হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে এবং জমিতে অন্যান্য অন্তর্বর্তী পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়া গাছের চারা (যেমন আম, নারকেল, তালগাছ, নিম) রোপণের জন্য অনুকূল।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য বাগানে সুবিধা জনক দূরত্বে ছোট ছোট নালার ব্যবস্থা রাখুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁস যাতে গরম পানিতে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
কুমিল্লা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং কুমিল্লা)
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রোগবালাই যেমন ধানের ব্লাস্ট,ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ,বাদামি দাগ এবং পোকামাকড় যেমন মাজরা পোকা, পামরি পোকা, থ্রিপস , পাতামোড়ানো পোকা ইত্যাদির উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। আক্রমণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রনের জন্য কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাঝরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন কতে হবে। আক্রমন দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলতে হবে। পোকা নিধনের জন্য বিঘাপ্রতি ৫টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ১০জি হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে এবং জমিতে অন্যান্য অন্তর্বর্তী পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।
জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে নিষ্কাশন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়া গাছের চারা (যেমন আম, নারকেল, তালগাছ, নিম) রোপণের জন্য অনুকূল।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য বাগানে সুবিধা জনক দূরত্বে ছোট ছোট নালার ব্যবস্থা রাখুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁস যাতে গরম পানিতে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাজশাহী অঞ্চল (জেলাসমূহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর এবং রাজশাহী)
পাট
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
পাটের ক্ষেতে জমা পানি যদি ২-৩ দিনের মধ্যে নিষ্কাশন করা না যায় তবে পরিপক্ক ফসল দ্রুত কর্ত্তন করে পানিতে পচানোর ব্যবস্থা নিন।
ভালো মানের আঁশ পেতে পাট সাধারণত: ফুল আসার আগে অর্থাৎ বপনের ১২০ দিন পর কর্ত্তন করা ভালো। বর্তমানে জলাশয় , খাল-বিল ও নদী-নালায় পানির তাপমাত্রা পাট পচানোর জন্য উপযোগী। সময়মত ও আগাম বপনকৃত দেশী পাট এ সময়ে কর্ত্তন করে পচানো পূর্বে আঁটি বেঁধে পাতা ঝরানোর জন্য ৩-৪ দিন জমিতে স্তুপ করে রাখুন।
পাতা ঝরানো পাট পচানোর জন্য পাটের আঁটি গুলি জলাশয় , খাল-বিল বা নদী-নালা যেখানে পানির তাপমাত্রা ৩৪০সে বা এর কাছাকাছি সেই পানিতে ডুবিয়ে কচুরিপানা,ধানের খড় অথবা জলজ উদ্ভিদ দিয়ে ঢেকে দিন।
ভালো ভাবে পচার পর পাটকাটি থেকে আঁশগুলিকে আলাদা করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন। অত:পর বাঁশের আড়া, টিনের চাল অথবা ঘরের দেয়ালের উপর রৌদ্রে আঁশগুলি মেলে দিয়ে ভালো ভাবে শুকিয়ে নিন।
বিক্রি করার আগ পর্যন্ত আঁশগুলোকে গাট বেঁধে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করে এমন শুষ্ক গুদামে সংরক্ষণ করুন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
দ্রুত জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
ধান আমন
পর্যায়:বীজতলা
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমন ধানের বপনের কাজ শেষ করুন। আগাছামুক্ত বীজতলা নিশ্চিত করুন।
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রোগবালাই যেমন ধানের ব্লাস্ট,ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ,বাদামি দাগ এবং পোকামাকড় যেমন মাজরা পোকা, পামরি পোকা, থ্রিপস , পাতামোড়ানো পোকা ইত্যাদির উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। আক্রমণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রনের জন্য কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাঝরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন কতে হবে। আক্রমন দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলতে হবে। পোকা নিধনের জন্য বিঘাপ্রতি ৫টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ১০জি হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলত