কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
জাতীয় বুলেটিন
তারিখ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২0২৩
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (বুধবার)
সময়কালঃ ২৭.০৯.২০২৩ - ০১.১০.২০২৩
দেশের বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সকাল ০৬ টা পর্যন্ত ) এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিচে দেওয়া হলো:
প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ:
• গত সপ্তাহে দেশের দৈনিক উজজ্বল সূর্যকিরণ কালের গড় ৪.৮১ ঘন্টা ছিল।
• গত সপ্তাহে দেশের দৈনিক বাষ্পীভবনের গড় ২.৯২ মি.মি.ছিল ।
সপ্তাহের শেষে (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত) আবহাওয়া প্যারামিটারের স্থানিক বন্টন
NOAA/VIIRS BLENDED NDVI composite for the week. No. 38 (17.09.2023 to 23.09.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VCI composite for the week No. 38 (17.09.2023 to 23.09.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED TCI composite for the week No. 38 (17.09.2023 to 23.09.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VHI composite for the week No. 38 (17.09.2023 to 23.09.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
মূখ্য কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
খুলনা অঞ্চল (জেলাসমূহ: বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা)
ধান আমন
পর্যায়:কুশি গজানো
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হলুদ মাজরা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান হেক্টর প্রতি ১০ কেজি প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাঙ্গামাটি অঞ্চল (জেলাসমূহ: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি)
ধান আমন
পর্যায়:ফুল আসা
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বাদামী দাগ এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। সার ব্যবস্থপনা, পটাশ+থিওভিট প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে খোল পোড়া এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। হেক্সাকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করুন। টেবিউকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বরিশাল অঞ্চল (জেলাসমূহ: বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর)
ধান আমন
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হলুদ মাজরা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান হেক্টর প্রতি ১০ কেজি প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বগুড়া অঞ্চল (জেলাসমূহ: বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ)
ধান আমন
পর্যায়:কুশি গজানো
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হলুদ মাজরা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান হেক্টর প্রতি ১০ কেজি প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
কুমিল্লা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং কুমিল্লা)
ধান আমন
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হলুদ মাজরা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান হেক্টর প্রতি ১০ কেজি প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাজশাহী অঞ্চল (জেলাসমূহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর এবং রাজশাহী)
ধান আমন
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
চট্টগ্রাম অঞ্চল (জেলাসমূহ: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী)
ধান আমন
পর্যায়:ফুল আসা
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
প্রয়োজন অনুযায়ী হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
যশোর অঞ্চল (জেলাসমূহ: চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা এবং মেহেরপুর)
ধান আমন
পর্যায়:কুশি গজানো
সেচ প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হলুদ মাজরা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান হেক্টর প্রতি ১০ কেজি প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
প্রয়োজন অনুযায়ী হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
ঢাকা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ঢাকা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী এবং টাঙ্গাইল)
ধান আমন
পর্যায়:ফুল আসা
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হলুদ মাজরা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান হেক্টর প্রতি ১০ কেজি প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
দিনাজপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: দিনাজপুর, পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও)
ধান আমন
পর্যায়:ফুল আসা
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে লক্ষীর গু এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। সার ব্যবস্থপনা করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
ফরিদপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং শরীয়তপুর)
ধান আমন
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হলুদ মাজরা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান হেক্টর প্রতি ১০ কেজি প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রংপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং রংপুর)
ধান আমন
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে লক্ষীর গু এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। সার ব্যবস্থপনা করুন।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
সিলেট অঞ্চল (জেলাসমূহ: হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট)
ধান আমন
পর্যায়:কুশি গজানো
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে মশামাছি থেকে রক্ষার জন্য গোয়ালঘরে ন্যাপথালিন ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
গোয়াল ঘরের চারপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। গোয়াল ঘরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
হাঁসমুরগী
১১-১৪ দিন বয়সী মুরগীর বাচ্চাকে গামবোরো রোগের টিকা প্রদান করুন।
রানীক্ষেত রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রয়োগ করুন।
কৃমিনাশক প্রদান করুন।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
ময়মনসিংহ অঞ্চল (জেলাসমূহ: জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা এবং শেরপুর)
ধান আমন
পর্যায়:কুশি গজানো
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হলুদ মাজরা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান হেক্টর প্রতি ১০ কেজি প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন শাকসবজি মূল জমিতে রোপণের আগে জমির মাটি ডাইথেন এম-৪৫ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে বৃষ্টিপাতের কারণে চারা পঁচে না যায়।
বিরাজমান আবহাওয়া পরিস্থিতে ঢেঁড়শ ফসলে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলুন। এ ছাড়া রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় এমামেকটিন বেনজয়েট ৫ এসজি ১.০গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
অসময়ে সব্জি চাষ সবসময়ই লাভজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এই ফসলগুলি খুবই আর্দ্রতা সংবেদনশীল, আর্দ্রতার অভাব অথবা অতিরিক্ত আর্দ্রতা উভয়ই উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি কোল ফসল চাষের জন্য জলাবদ্ধতা মুক্ত এবং সুনিষ্কাশিত জমি নির্বাচন করা প্রয়োজন।
প্রয়োজন অনুযায়ী হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
আবহাওয়ার এ পরিস্থিতিতে কলাগাছের পাতায় সিগাটোকা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি স্কোর অথবা ২ গ্রাম নোইন বা ব্যাভিস্টিন অথবা ০.১ মিলি একোনাজল/ফলিকোর মিশিয়ে ১৫-২০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলার বিটল পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ম্যালাথিয়ন বা ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লিবাসিড ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁপে গাছে মিলি বাগের আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণের প্রথম দিকে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা/কান্ড সংগ্রহ করে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান পানি অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল ০.২৫ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে তরকা, বাদলা ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।