এক নজরে খেসারি চাষ
উন্নত জাতঃ বারি খেসারী-১, বারি খেসারী-২, বারি খেসারী-৩, বিনা খেসারি-১
পুষ্টিগুনঃ প্রতি ১০০ গ্রাম খেসারীতে জলীয় অংশ রয়েছে ১০ গ্রাম, খনিজ পদার্থ এবং আঁশ ২.৩ গ্রাম, খাদশক্তি ৩৪৫ কিলোক্যালরি , আমিষ ২৮ গ্রাম, শর্করা ৫৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯০ মিগ্রা। ক্যারোটিন ১২০ গ্রাম।
বপনের সময়ঃ রিলে ফসলের ক্ষেত্রে আমন ধানের পরিপক্ককাল এবং জমির রসের পরিমাণের উপর খেসারীর বীজ বপনের সময় নির্ভর করে। এক্ষেত্রে কার্তিক মাস থেকে মধ্য অগ্রহায়ণ পর্যন্ত বীজ বপন করতে হয়। একক ফসলের জন্য মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য অগ্রহায়ণ মাসে বীজ বপন করা উত্তম।
চাষপদ্ধতি: রিলে ফসল হিসেবে চাষ করলে আমন ধান কাটার প্রায় এক মাস পূর্বে জমিতে পর্যাপ্ত রস থাকা অবস্থায় বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হবে। একক ফসল হিসেবেও বীজ ছিটিয়ে বপন করা যায়। তবে সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারির দূরত্ব ২০ ইঞ্চি রাখতে হবে।
বীজের পরিমানঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ১০০-১২০ গ্রাম
সার ব্যবস্থাপনাঃ
সারের নাম | শতক প্রতি সার |
কম্পোস্ট | ২৫ কেজি |
টিএসপি | ৭০০ গ্রাম |
পটাশ | ৪৫০ গ্রাম |
প্রতি শতকে ৩৫ কেজি পচা গোবোর অথবা কম্পোস্ট সার, ইউরিয়া ১৫০ গ্রাম , টিএসপি ৩৩০ গ্রাম এবং এমপি ১৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি কেজি বীজের জন্য ৯০ গ্রাম হারে অনুমোদিত অণুজীব সার প্রয়োগ করতে হবে। অনুজীব সার দিলে ইউরিয়া সার দেয়ার প্রয়োজন নেই।
সেচঃ খরিফ মৌসুমে বীজ বপনের আগে খরা হলে সেচ দিয়ে জমিতে জো আসার পর বীজ বপন করতে হবে। জমি একেবারেই শুকিয়ে গেলে হালকা সেচ দিয়ে নিড়ানি দিন।
আগাছাঃ সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা বাছাই। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।
আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ অতি বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি জমে গেলে নালা তৈরি করে তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
পোকামাকড়ঃ
রোগবালাইঃ
সতর্কতাঃ বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন। ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যাবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫ দিন পর বাজারজাত করুন। বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যাবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না।
ফলনঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ফলন ৫-৬ কেজি।
সংরক্ষনঃ ছায়ায় সংরক্ষণ করুন। মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিন। বেশি দিন সংরক্ষণ এর জন্য হিমাগারে রাখুন।