এক নজরে পেঁপে চাষ
উন্নত জাতঃ বারি পেঁপে-১, রেড লেডি, বাদশা রবি , খারিফ দুই মৌসুমেই চাষ করা যাবে ।
পুষ্টিগুনঃ লেবুর প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপযোগী অংশে ৮৮.৪ গ্রাম জলীয়, ০.৬মিলি গ্রাম খনিজলবণ, ১.৭ গ্রাম আঁশ, ০.৩ গ্রাম আমিষ, ১০ গ্রাম শর্করা, ৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৩ মিলিগ্রাম লৌহ,০.০৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২৪৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি ও ৪৭ মিলিগ্রাম খাদ্যশক্তি রয়েছে।
বপনের সময়ঃ আশ্বিন (সেপ্টেম্বর- অক্টোবর) এবং পৌষ (ডিসেম্বর- জানুয়ারি)।
চাষপদ্ধতি: পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৫X৪ ইঞ্চি . আকারের ব্যাগে সমান পরিমাণ বালি, মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ ভর্তি করে ব্যাগের তলায় ২-৩টি ছিদ্র করুন। তারপর সদ্য তোলা বীজ হলে রৌদ্রোজ্জ্বল, সহজে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে এরকম উর্বর জমি বীজতলার জন্য বেছে নিতে হবে ।
বীজের পরিমানঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ১.৫–২.৫ গ্রাম ।
সার ব্যবস্থাপনাঃ
সারের নাম |
সারের পরিমাপ |
ইউরিয়া | ৪০০-৫০০ গ্রাম |
টিএসপি | ৫০০ গ্রাম |
এমওপি | ৪৫০-৫০০ গ্রাম |
জিপসাম | ২৫০ গ্রাম |
জিংক | ২০ গ্রাম |
বোরন | ২০ গ্রাম |
সার প্রয়োগের পদ্ধতিঃ চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পূর্বে প্রতি গর্তে ১৫ কেজি গোবর সার,টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট ও বোরিক এসিড দিতে হবে। ইউরিয়া ও এমওপি সার চারা রোপনের ১ মাস পর থেকে প্রতি মাসে একবার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া গাছে প্রতি ৫০ গ্রাম ও এমওপি ৫০ গ্রাম। গাছে ফুল এলে এই মাত্রা দ্বিগুণ করতে হবে। ফল তোলার ২ মাস আগে সার দেয়া বন্ধ করতে হবে।
পোকামাকড়ঃ
রোগবালাইঃ
সতর্কতাঃ বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন । ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যাবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫ দিন পর বাজারজাত করুন। বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যাবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যাবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না।
আগাছাঃ সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা দমন করুন । চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে। প্রতি বর্গমিটারে রবি মৌসুমে ৫০-৬০ টি এবং খরিফ মৌসুমে ৪০-৫০ টি চারা রাখা উত্তম।।
সেচঃ অতিরিক্ত সেচ গোড়া পচন রোগ এর অনুকূল। বৃষ্টি বা অতিরিক্ত সেচের পানি জমিতে জমতে দিবেন না। এর পর জো এলে কোদাল/নিড়ানি দিয়ে মাটির ওপরের চটা ভেঙে দিন। মাটিতে রস কম থাকলে বপনের ৭-১০ দিনের মধ্যেই একটি সেচ দিন। সাধারণত ২ সপ্তাহ পর পর ২-৩ বার সেচ দিন।
আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ অতি বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি জমে গেলে তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। রবি মৌসুমে নিম্ন তাপমাত্রা ( ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে ) থেকে চারা রক্ষার জন্য বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে ।
ফলনঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ফলন ১৪০-১৫০ কেজি।
সংরক্ষনঃ ঠান্ডা ও বাতাস চলাচল করা জায়গাতে ফল ঘষা বা চাপ খায় না এমন ভাবে সংরক্ষন করুন। চটের ছালা মাটিতে বিছিয়ে ২ থেকে ৩ দিন পাকা পেঁপে রাখা যাবে। কাঁচা পেঁপে ৩ দিন পর্যন্ত রাখা যায় আবার পানিতে ভিজিয়ে কাঁচা পেঁপে ৪ থেকে ৫ দিন রাখা যায়। ।