বাংলাদেশ একটি কৃষি দেশ এবং বাংলাদেশের প্রায় ৮০% লোক সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কৃষি নিয়ে জড়িত। বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ কিন্তু এটি বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের জমি রয়েছে। ইহা নদী মাতৃকদেশ, কাজেই ইহার বেশিরভাগ এলাকাই নদীবিধৌত এবং বেসিন টাইপ।
আমরা জানি যে এইজেড (কৃষি -পরিবেশগত অঞ্চল) হলো সেই এলাকা যেখানে একই পরিবেশে এবং মাটির বৈশিষ্ট্যে ফসল উৎপাদন হয়। একটি সুনির্দিষ্ট এইজেডে ফসল বিন্ন্যাস মোটামুটি একই রকম।একটি কৃষি -পরিবেশগত অঞ্চলের উপ-অঞ্চল এবং এককের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগতভাবে মিল রয়েছে।
বাংলাদেশের কৃষি -পরিবেশগত অঞ্চলগুলি সুনির্দিষ্ঠ কিছু বৈি শষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে সঙ্গায়িত করা হয় এবং সেগুলি হরো ভ’-প্রকুতি(কোন নির্দিষ্ট এলাকার মাটির মূল উপাদান এবং ভ’মির ধরণ), পানির সহজ লভ্যতা (মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা এবং ভ’মির পানির স্তর), ফসল বিন্ন্যাশ (কোন নির্দিষ্ট এলাকায় রবি, খারফ মৌসুমে চাষকৃত প্রধান ফসলসমুহের জীবনকাল), মৌসুম ( কোন সুসির্দিষ্ট এলাকায়মৌসুমী বন্যর ব্যাপ্তিএবং এর গভীরতা), মাটির ধরণ এবং জোয়ার-ভাটার প্রকৃতি।
বাংলাদেশে ৩০ টি কৃষি -পরিবেশগত অঞ্চল রয়েছে। এই ৩০টি এইজেডকে ৮৮টি উপ-অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে এবং এই উপ-অঞ্চলকে আবার ৫৩৫টি কৃষি -পরিবেশগত এককে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ৩০ টি কৃষি -পরিবেশগত অঞ্চল নীচে দেওয়া হলো (সংখার ক্রমানুসারে)-
১.পুরাতন হিমালয় পাদভুমি
২. সক্রিয় তিস্তা প্লাবনভুমি
৩. তিস্তা সর্পিল প্লাবনভুমি
৪. করতোয়া-বাঙ্গালী প্লাবনবুমি
৫. নিম্ন-আত্রাই বেসিন
৬. নিম্ন- পূনর্ভবা প্লাবনভুমি
৭. সক্রিয় ব্রক্ষপুত্র ও যমুনা প্লাবনভুমি
৮. নতুন ব্রক্ষপুত্র ও যমুনা প্লাবনভুমি
৯. পুরাতন ব্রক্ষপুত্র প্লাবনভুমি
১০. সক্রিয় গঙ্গা প্লাবনভুমি
১১. উচ্চ গঙ্গা প্লাবনভুমি
১২. নিম্ন গঙ্গা প্লাবনভুমি
১৩. গঙ্গা জোয়ার প্লাবনভুমি
১৪. গোপালগঞ্জ-খুলনা জলাভুমি
১৫. আত্রাই বিল/আরিয়াল বিল
১৬. মধ্য মেঘনা প্লাবনভুমি
১৭. নিম্ন মেঘনা প্লাবনভুমি
১৮. নতুন মেঘনা- মোহনা প্লাবনভুমি
১৯. পুনাতন মেঘনা প্লাবনভুমি
২০. পূর্ব সুরমা-কুশিয়ারা প্লাবনভুমি
২১. সিলেট বেসিন
২২. উত্তর-পূর্ব পাদভুমি
২৩.চট্টগ্রাম উপকুল সমভুমি
২৪. সেন্টমার্টিন কোরাল দ্বীপ
২৫. সমতল বরেন্দ্র অঞ্চল
২৬. উচ্চ বরেন্দ্র অঞ্চল
২৭. উত্তর-পূর্ব বরেন্দ্র অঞ্চল
২৮. মধুপুর অঞ্চল
২৯. উত্তর-পূর্ব পাহাড়ি অঞ্চল
৩০. আখাউড়া সোপান