আবহাওয়া ভিত্তিক কৃষি বিষয়ক বুলেটিন জেলা: বান্দরবান
|
|
কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প
কম্পোনেন্ট সি-বিডব্লিউসিএসআরপি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
|
|
তারিখ : ২৯.০৫.২০২২ বুলেটিন নং ৩৫৬
|
২৯.০৫.২০২২ থেকে ০২.০৬.২০২২ পর্যন্ত কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক বুলেটিন
|
|
|
|
|
গত ৪ দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতি ২৫.০৫.২০২২ থেকে ২৮.০৫.২০২২ তারিখ পর্যন্ত
আবহাওয়ার স্থিতিমাপ(প্যারামিটার)
|
২৫.০৫.২০২২
|
২৬.০৫.২০২২
|
২৭.০৫.২০২২
|
২৮.০৫.২০২২
|
সীমা
|
বৃষ্টিপাত (মি.মি)
|
২.০
|
০.০
|
৩০.০
|
০.০
|
০.০-৩০.০ (৩২.০)
|
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড)
|
৩৩.০
|
৩৩.২
|
৩০.২
|
৩৩.৫
|
৩০.২-৩৩.৫
|
সর্বনিমণ তাপমাত্রা (ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড)
|
২৩.৫
|
২৬.০
|
২৫.২
|
২৪.২
|
২৩.৫-২৬.০
|
আপেক্ষিক আর্দ্রতা (শতকরা)
|
৬২.০-৯৩.০
|
৬১.০-৯১.০
|
৭৫.০-৯৪.০
|
৬৭.০-৮৪.০
|
৬১.০-৯৪.০
|
বাতাসের গতিবেগ (কিমি/ ঘন্টা)
|
৫.০
|
৬.৮
|
৭.৯
|
৬.৩
|
৫.০-৭.৯
|
বাতাসের দিক
|
উত্তর / উত্তর - পশ্চিম
|
উত্তর / উত্তর - পশ্চিম
|
উত্তর / উত্তর - পশ্চিম
|
উত্তর / উত্তর - পশ্চিম
|
উত্তর / উত্তর - পশ্চিম
|
মেঘের পরিমান (অক্টা)
|
৪
|
৩
|
৬
|
৫
|
৩.৩-৫.৯
|
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস ২৯.০৫.২০২২ থেকে ০২.০৬.২০২২ তারিখ পর্যন্ত
আবহাওয়ার স্থিতিমাপ(প্যারামিটার)
|
সীমা
|
বৃষ্টিপাত (মিমি)
|
১.১-১৬.১ (৩৭.০)
|
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড)
|
৩১.৫-৩৩.২
|
সর্বনিমণ তাপমাত্রা (ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড)
|
২৩.২-২৪.৫
|
আপেক্ষিক আর্দ্রতা (শতকরা)
|
৬৩.৬-৯০.৫
|
বাতাসের গতিবেগ (কিমি/ ঘন্টা)
|
৯.৫-১৪.৪
|
বাতাসের দিক
|
উত্তর / উত্তর - পশ্চিম
|
মেঘের অবস্থা
|
আংশিক মেঘলা
|
কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ:
করোনা ভাইরাস (কোভিড-19) সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য ফসল সংগ্রহ বা ব্যবস্থাপনার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য দিক নির্দেশনা মেনে চলুন।
আবহাওয়া পরিস্থিতি ও কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ:
লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলার অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
বোরো ধান:
- জমিতে প্রয়োজনীয় পানির স্তর বজায় রাখুন।
- ব্লাস্ট রোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জমিতে পানি ধরে রাখুন ও সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করুন।
- ব্লাস্ট রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আক্রান্ত জমিতে ইউরিয়া সারের উপরিপ্রয়োগ সাময়িক বন্ধ রেখে প্রতি ৫ শতাংশ জমিতে ৮ গ্রাম ট্রুপার অথবা ৬ গ্রাম নেটিভো অথবা ট্রাইসাইক্লাজল/স্ট্রবিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় ১০ লিটার পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে বিকেলে ৫-৭ দিন অন্তর দু’বার প্রয়োগ করতে হবে।
- পাতা মোড়ানো পোকা দমনে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করুন ও জমিতে পার্চিং করুন। ইউরিয়া সারের অতিরিক্ত ব্যবহার পরিহার করুন। শতকরা ২৫ ভাগ পাতা ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেভিন ৮৫ এসপি, ডার্সবান ২০ ইসি অথবা মিপসিন ৭৫ ডব্লিউপি এর যে কোন একটি অনুমোদিত কীটনাশক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
- থ্রিপস পোকার আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত জমিতে নাইট্রোজেন জাতীয় সার ব্যবহার করুন। আক্রমণ বেশি হলে হেক্টরপ্রতি ১.১২ লিটার ম্যালাথিয়ন অথবা ১.৭ কেজি কার্বারিল অথবা ১.১২ কেজি আইসোপ্রোকার্ব/এমআইপিসি প্রয়োগ করুন।
- দানা গঠন পর্যায়ে গান্ধী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। গড়ে প্রতি ২-৩টি গোছায় একটি গান্ধী পোকা দেখা গেলে কার্বারিল অথবা আইসোপ্রোকার্ব/এমআইপিসি গ্রুপের কীটনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করুন।
- বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
- ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
- কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য শীষে ৮০% দানা পরিপক্ক হলেই দ্রুত কর্তন ও মাড়াই করুন।
পাট:
- পাটের জমিতে বৃষ্টির পানি যেন জমে না থাকে সেজন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
- পাটের বিছা পোকা বাচ্চা অবসহায় দলবদ্ধভাবে থাকে এবং পাতার সবুজ অংশ খেয়ে পাতা ঝাঝড়া করে ফেলে। এ অবস্থায় পাতা সহ বিছা পোকাগুলো তুলে অল্প কেরোসিন মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে অথবা পায়ে মাড়িয়ে অতি সহজে দমন করা যায়। আক্রমণ ব্যাপক হলে হেজিনন ৬০ইসি ১.৫মিলি লিটার পানি, ইমিডাকোলর ১০ ডব্লিউপি ১.৫গ্রাম প্রতি লিটার পানি, সেভিন ৮৫এসপি ০.৫মিলি প্রতিলিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে এই পোকা দমন করা যায়।
- পাটের ঘোড়া পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ক্ষেতে বাঁশ বা গাছের ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করুন। পোকার আক্রমণ অধিক হলে ক্ষেতে কীটনাশক ঔষধ যেমন হেজিনন ৬০ইসি ১.৫মিলি লিটার পানি, ইমিডাকোলর ১০ ডব্লিউ ১.৫গ্রাম প্রতি লিটার পানি, সেভিন ৮৫এসপি ০.৫মিলি প্রতিলিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে এই পোকা দমন করা যায়।
- চেলে পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বীজ বপনের সময় ক্ষেতের আশে পাশে যদি অবাঞ্ছিত আগাছা থাকে তা পরিস্কার করে ফেলতে হবে। মৌসুমের প্রথমেই পাটের পরিচর্যার সময় ঐ সকল ডগা আক্রান্ত গাছগুলি তুলে ধ্বংস করতে হবে। পোকার আক্রমণ অধিক হলে ক্ষেতে কীটনাশক ঔষধ যেমন হেজিনন ৬০ইসি ১.৫মিলি লিটার পানি, সিমবুশ ১০ইসি ০.৫মিলি প্রতিলিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে এই পোকা দমন করা যায়।
সবজি:
- কুমড়া জাতীয় সবজির হস্ত পরাগায়নের ব্যবস্থা নিন। বিটল পোকা দেখা দিলে সকাল-বিকাল হাত দিয়ে মেরে ফেলুন।
- কুমড়া জাতীয় সবজিতে মাছি পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ফেরোমন ও বিষটোপ ফাঁদের যৌথ ব্যবহার করুন। আলফা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের বালাইনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
- বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভাব। একান্ত প্রয়োজনে কেবল মাত্র পরিমিত মাত্রায় নির্দিষ্ট ক্ষমতা সম্পন্ন রাসায়নিক কীটনাশক অথবা স্থানীয়ভাবে সুপারিশকৃত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করুন।
- জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
- বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রযোগ করুন।
উদ্যান ফসল:
- ফল বাগানের আন্ত:পরিচর্যা করতে হবে।
- আম পরিপক্কতার সময় মাছি পোকা দমনের জন্য ফেনিট্রথিয়ন গ্রুপের সুমিথিয়ন ৫০ ইসি ১.১২ মিলি প্রতি লিটার পানির সাথে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করতে হবে।
- নারিকেলের মাকড় দমনের জন্য আক্রান্ত গাছের কচি ডাব কেটে পুড়িয়ে ফেলে গাছে মাকড়নাশক প্রয়োগ করতে হবে। এর সাথে আশেপাশের কম বয়সী গাছের কচি পাতাতেও মাকড়নাশক প্রয়োগ করতে হবে।
- পেয়ারায় মিলিবাগের আক্রমণ হলে অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন। প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করেও এ পোকা দমন করা যায়।
- জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে নিষ্কাশন করুন।
- বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রযোগ করুন।
গবাদি পশু:
- গোয়াল ঘর খোলামেলা রাখুন। রাত বা প্রতিকূল আবহাওয়ায় কাপড় বা চটের পর্দা দিন।
- মশা মাছি তাড়ানোর জন্য ছিদ্রযুক্ত মাটির পাত্রে রেখে কয়েল ব্যবহার করুন।
- গবাদি পশুকে প্রচুর পরিষ্কার পানি পান করান।
- গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস খাওয়ান।
- রোগ প্রতিরোধে গবাদি পশুকে নিয়মিত টিকা দিন।
হাঁস মুরগী:
- রোগ প্রতিরোধে হাঁস মুরগীকে নিয়মিত টিকা দিন।
- মশা মাছি তাড়ানোর জন্য ছিদ্রযুক্ত মাটির পাত্রে রেখে কয়েল ব্যবহার করুন।
- হাঁসমুরগীর ঘর পরিষ্কার রাখুন।
মৎস্য:
- দ্রুত খালি জলাশয়ে চুন, সার দিয়ে মাছ ছাড়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন।
- প্রজাতি ও সংখ্যা হিসাব করে মাছ ছাড়ুন।