ধান বোরো

• পর্যায়:কুশি গজানো
• জমি ও সেচ নালা আগাছামুক্ত রাখুন। সার প্রয়োগের আগে আগাছা পরিষ্কার করুন এবং সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিন। হাত দ্বারা অথবা আগাছানাশক (যেমন রিফিট ৫০০ ইসি, সুপারহিট ৫০০ ইসি ইত্যদি ১৩৪ মিলি/বিঘা) ব্যবহার করে আগাছা দমন করা যেতে পারে |
• সার উপরি প্রয়োগ করে উইডার দিয়ে আগাছা পরিষ্কার ইউরিয়া সারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
• চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
• এ সময়ে ক্ষেতে মাজরা পোকা ও পামরি পোকার আক্রমণ হতে পারে। সে জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন প্রয়োজন।
• পোকা দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পরিনত/বয়স্ক পোকা সংগ্রহ করে মাটিতে পুতে অথবা আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলতে হবে।
• পরিণত মথকে আকৃষ্ট ও দমন করার জন্য বিঘা প্রতি ২টি করে ফেরোমন ট্রাপ স্থাপন করুন।এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য হেক্টর প্রতি ১০কেজি কার্বোফুরান ৫জি অথবা ডায়াজিনন ১০জি ১৭ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
• হালকা কুয়াশা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারনে ব্লাস্ট এবং বাদামি দাগ রোগের অক্রমন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ট্রপার (Trooper) ৬.০ গ্রাম/লি: অথবা নাটিভো ৬.০ গ্রাম/লি: পানিতে মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর ২বার স্প্রে করুন।
• জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
• সেচ প্রয়োগ করুন।

সবজি

• টমেটোতে হলুদাভ বাদামী দাগ দেখা গেলে প্রতি লিটার পানিতে ২.৫-৩ গ্রাম ম্যানকোজেব মিশিয়ে স্প্রে করুন।
• বেগুন, টমেটো ও মরিচের ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৩-৪ টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
• আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। সুপারিশকৃত কীটনাশক স্প্রে করুন।
• সেচ প্রয়োগ করুন।

উদ্যান ফসল

• অর্গানিক মালচিং এর ব্যবস্থা করুন এবং আগাছা নিধন করুন।
• ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছে সিউডোস্টেম উইভিল এর আক্রমণ হলে প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে ক্লোরপাইরিফস মিশিয়ে স্প্রে করুন।
• নারিকেলের বাড রট রোগ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছে বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
• উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে আমে শুটি মোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা গেলে আক্রান্ত ডাল ছেঁটে ফেলে সমস্ত গাছ সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলো। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যানকোজেব ০.২% + ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
• সেচ প্রয়োগ করুন।

সরিষা

• পর্যায়:ফল আসা
• সরিষায় স-ফ্লাই এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। এ পোকা নিয়ন্ত্রণে এক লিটার পানিতে ৫ মিলি হারে ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
• পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে কার্বেন্ডাজিম ১২%+ম্যানকোজেব ৬২% প্রয়োগ করুন।
• পড গঠন পর্যায়ে আন্ত পরিচর্যা করুন।
• হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।

গবাদি পশু

• বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
• গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
• গবাদি পশুকে আমিষ সমৃদ্ধ দানাদার খাবার খাওয়ান।
• গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
• খুরা রোগ প্রতিরোধকল্পে গবাদি পশুকে খুরা রোগের টিকা দিন।
• গবাদি পশুকে হালকা গরম পানি পান করান।
• গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।

হাঁসমুরগী

• হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
• ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
• মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
• খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।

মৎস্য

• বেশি পরিমান মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
• নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
• শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
• পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
• শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)