কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
জাতীয় বুলেটিন
তারিখ: ২৪ মে ২0২৩
২৪ মে ২০২৩ (বুধবার)
সময়কালঃ ২৪.০৫.২০২৩ - ২৮.০৫.২০২৩
দেশের বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান (২৪ মে ২০২৩, সকাল ০৬ টা পর্যন্ত ) এবং ২৩ মে ২০২৩ এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ২৪ মে ২০২৩ এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিচে দেওয়া হলো:
সপ্তাহের শেষে (২৩ মে ২০২৩ পর্যন্ত) আবহাওয়া প্যারামিটারের স্থানিক বন্টন
আবহাওয়া পূর্বাভাস ২৩.০৫.২০২৩ হতে ২৮.০৫.২০২৩ পর্যন্ত
NOAA/VIIRS BLENDED NDVI composite for the week. No. 20 (14.05.2023 to 20.05.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VCI composite for the week No. 20 (14.05.2023 to 20.05.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED TCI composite for the week No. 20 (14.05.2023 to 20.05.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VHI composite for the week No. 20 (14.05.2023 to 20.05.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
মূখ্য কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
খুলনা অঞ্চল (জেলাসমূহ: বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা)
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রোগবালাই যেমন ধানের ব্লাস্ট,ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ,বাদামি দাগ এবং পোকামাকড় যেমন মাজরা পোকা, পামরি পোকা, থ্রিপস , পাতামোড়ানো পোকা ইত্যাদির উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। আক্রমণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রনের জন্য কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাঝরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন কতে হবে। আক্রমন দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলতে হবে। পোকা নিধনের জন্য বিঘাপ্রতি ৫টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ১০জি হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
ধান ৮০% পরিপক্ক হয়ে গেলে সংগ্রহ করে দ্রুত নিরাপদ জায়গায় রাখুন।
বোরো ধানে গান্ধী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। গান্ধী পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৫০ ডব্লিউপি মিশিয়ে স্প্রে করুন। বৃষ্টি না থাকলে অতিরিক্ত সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে যেন গোড়া পচে না যায়।
ধানের জমিতে পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
প্রয়োজন অনুযায়ী হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাঙ্গামাটি অঞ্চল (জেলাসমূহ: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি)
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য ক্ষেত নিবিড় পর্যবেক্ষন করুন। আক্রমন দেখা গেলে ডায়াজিনন ৬০ইসি @ ৩.০মিলি/লি: অথবা কার্বোসালফান ২০ ইসি @২.০ মিলি/লি: হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
উচ্চ আর্দ্রতার কারনে (উষ্ণ ও আদ্র) ফসলে পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমনের সম্ভাবনা বেশী থাকে, সেইজন্য সর্বদা পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
গলমাছি, সাদাপিঠ গাছফড়িং, বাদামি গাছফড়িং এবং পাতামোড়ানো পোকার আক্রমন হলে ম্যলাথিয়ন ৫৭ইসি অথবা ফেনিট্রিথিয়ন ৫০ইসি ২.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে নিষ্কাশন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বরিশাল অঞ্চল (জেলাসমূহ: বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর)
পাট
পর্যায়:অংগজ
পোকা মাকড় ও রোগ বালাই এর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পাট ক্ষেত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আগাছামুক্ত রাখুন।
পাটের বর্ধনশীল পর্যায়ে জমিতে যাতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে সেজন্য সেচ ও নিষ্কাশন নালা আগাছা মুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন।
বপনের ২০-২৫ দিন পর ২য় নিড়ানি, মালচিং ও চারা পাতলা করণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতিতে এবং ফসলের বর্তমান অবস্থায় পাটক্ষেতে উরচুংগা পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে দমনের জন্য ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০মিলি পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
ফসলের বর্তমান অবস্থায় পাটক্ষেতে হলুদ মাকড় এর আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে সালফার জাতীয় মাকড় নাশক যেমন, থিয়োভিট ৮০ডব্লিউজি ৩.৫গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ফসলের এ পর্যায়ে পাটক্ষেতে শুঁয়োপোকা ও সেমিলুপার পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে হাত বাছাই এর মাধ্যমে পাতা সহ পোকার ডিম ও কীড়া সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে অথবা কেরোসিন পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ প্রকট হলে ডায়াজিনন ৬০ইসি ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতিতে এবং ফসলের বর্তমান অবস্থায় পাট ক্ষেতে চারা ঝলসানো ও কান্ডপচা রোগের আক্রমণ দেখা যেতে পারে। রোগ দমনের জন্য ম্যানকোজেব (ডাইথেন-এম ৪৫/ইন্ডোফিল এম ৪৫) ২ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে মেঘমুক্ত আবহাওয়ায় স্প্রে করুন। সব ধরনের বালাই ব্যবস্থাপনা মেঘমুক্ত ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় করা উত্তম।
বপনের ৪০-৫০ দিন পর ৩য় ও শেষ নিড়ানি, মালচিং ও চারা পাতলা করণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। এ পর্যায়ে যে সমস্ত চারা তুলনামূলকভাবে দুর্বল ও বৃদ্ধি কম সে গুলো তুলে ফেলাই উত্তম।
বাতাসের গতি বেশি হলে দেশী পাট যে গুলো ৪ ফুটের বেশি লম্বা সে গুলো হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চার পাশের ৪-৫টি পাটগাছকে একত্রে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য ক্ষেত নিবিড় পর্যবেক্ষন করুন। আক্রমন দেখা গেলে ডায়াজিনন ৬০ইসি @ ৩.০মিলি/লি: অথবা কার্বোসালফান ২০ ইসি @২.০ মিলি/লি: হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
উচ্চ আর্দ্রতার কারনে (উষ্ণ ও আদ্র) ফসলে পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমনের সম্ভাবনা বেশী থাকে, সেইজন্য সর্বদা পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
গলমাছি, সাদাপিঠ গাছফড়িং, বাদামি গাছফড়িং এবং পাতামোড়ানো পোকার আক্রমন হলে ম্যলাথিয়ন ৫৭ইসি অথবা ফেনিট্রিথিয়ন ৫০ইসি ২.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বগুড়া অঞ্চল (জেলাসমূহ: বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ)
পাট
পর্যায়:অংগজ
পোকা মাকড় ও রোগ বালাই এর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পাট ক্ষেত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আগাছামুক্ত রাখুন।
পাটের বর্ধনশীল পর্যায়ে জমিতে যাতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে সেজন্য সেচ ও নিষ্কাশন নালা আগাছা মুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন।
বপনের ২০-২৫ দিন পর ২য় নিড়ানি, মালচিং ও চারা পাতলা করণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতিতে এবং ফসলের বর্তমান অবস্থায় পাটক্ষেতে উরচুংগা পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে দমনের জন্য ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০মিলি পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
ফসলের বর্তমান অবস্থায় পাটক্ষেতে হলুদ মাকড় এর আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে সালফার জাতীয় মাকড় নাশক যেমন, থিয়োভিট ৮০ডব্লিউজি ৩.৫গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ফসলের এ পর্যায়ে পাটক্ষেতে শুঁয়োপোকা ও সেমিলুপার পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে হাত বাছাই এর মাধ্যমে পাতা সহ পোকার ডিম ও কীড়া সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে অথবা কেরোসিন পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ প্রকট হলে ডায়াজিনন ৬০ইসি ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতিতে এবং ফসলের বর্তমান অবস্থায় পাট ক্ষেতে চারা ঝলসানো ও কান্ডপচা রোগের আক্রমণ দেখা যেতে পারে। রোগ দমনের জন্য ম্যানকোজেব (ডাইথেন-এম ৪৫/ইন্ডোফিল এম ৪৫) ২ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে মেঘমুক্ত আবহাওয়ায় স্প্রে করুন। সব ধরনের বালাই ব্যবস্থাপনা মেঘমুক্ত ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় করা উত্তম।
বপনের ৪০-৫০ দিন পর ৩য় ও শেষ নিড়ানি, মালচিং ও চারা পাতলা করণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। এ পর্যায়ে যে সমস্ত চারা তুলনামূলকভাবে দুর্বল ও বৃদ্ধি কম সে গুলো তুলে ফেলাই উত্তম।
বাতাসের গতি বেশি হলে দেশী পাট যে গুলো ৪ ফুটের বেশি লম্বা সে গুলো হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চার পাশের ৪-৫টি পাটগাছকে একত্রে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
ধান আউশ
পর্যায়:চারা রোপণ / রিকোভারি
৩-৪ বার চাষ ও মই দিয়ে আউশ ধান রোপনের জন্য মূল জমি প্রস্তুত করতে হবে| মই দিয়ে এমন ভাবে জমি সমতল করতে হবে যাতে পানি সব জায়গায় সমানভাবে থাকে।
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ০৬ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ০৭ কেজি টিএসপি, ১১ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করুন।
২০-২৫ দিন বয়সী চারা রোপণ করুন। সারি থেকে সারির দূরত্ব ২০ সেমি. এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ১৫ সেমি. বজায় রাখুন।
প্রতি ২-২.৫ শতাংশ জমিতে পার্চিং হিসাবে একটি শাখা যুক্ত বাঁশের কন্চি পুঁতে দিন।
আউশ ধান রোপণের ৫-৭ দিনের মধ্যে মরা গোছায় পুনরায় রোপণ করতে হবে । চারা রোপণের পর ১৫ দিন পর্যন্ত মূল জমিতে পানির স্তর ১-২ সেমি বজায় রাখুন ।
চারা রোপণের ১৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ০৬ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
জমি ও সেচ নালা আগাছামুক্ত রাখুন। সার প্রয়োগের আগে আগাছা পরিষ্কার করুন এবং সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিন। হাত দ্বারা অথবা আগাছানাশক (যেমন রিফিট ৫০০ ইসি, সুপারহিট ৫০০ ইসি ইত্যদি ১৩৪ মিলি/বিঘা) ব্যবহার করে আগাছা দমন করা যেতে পারে |
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।