কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
জাতীয় বুলেটিন
তারিখ: 0৭ জুন ২0২৩
০৭ জুন ২০২৩ (বুধবার)
সময়কালঃ ০৭.০৬.২০২৩ - ১১.০৬.২০২৩
দেশের বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান (০৭ জুন ২০২৩, সকাল ০৬ টা পর্যন্ত ) এবং ০৬ জুন ২০২৩ এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ০৭ জুন ২০২৩ এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিচে দেওয়া হলো:
সপ্তাহের শেষে (০৬ জুন ২০২৩ পর্যন্ত) আবহাওয়া প্যারামিটারের স্থানিক বন্টন
আবহাওয়া পূর্বাভাস ০৬.০৬.২০২৩ হতে ১১.০৬.২০২৩ পর্যন্ত
NOAA/VIIRS BLENDED NDVI composite for the week. No. 22 (28.05.2023 to 03.06.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VCI composite for the week No. 22 (28.05.2023 to 03.06.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED TCI composite for the week No. 22 (28.05.2023 to 03.06.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VHI composite for the week No. 22 (28.05.2023 to 03.06.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
মূখ্য কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
খুলনা অঞ্চল (জেলাসমূহ: বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা)
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রোগবালাই যেমন ধানের ব্লাস্ট,ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ,বাদামি দাগ এবং পোকামাকড় যেমন মাজরা পোকা, পামরি পোকা, থ্রিপস , পাতামোড়ানো পোকা ইত্যাদির উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। আক্রমণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রনের জন্য কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাঝরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন কতে হবে। আক্রমন দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলতে হবে। পোকা নিধনের জন্য বিঘাপ্রতি ৫টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ১০জি হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে নলিমাছি বা গলমাছি এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: কার্বোফুরান হেক্টর প্রতি ১০ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।
ধান বোরো
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
ফসল সংগ্রহ করুন। সংগ্রহ করার পর শস্য রোদে শুকিয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে ঠাণ্ডা করে বায়ুনিরোধক পাত্রে নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে এবং জমিতে অন্যান্য অন্তর্বর্তী পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়া গাছের চারা (যেমন আম, নারকেল, তালগাছ, নিম) রোপণের জন্য অনুকূল।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য বাগানে সুবিধা জনক দূরত্বে ছোট ছোট নালার ব্যবস্থা রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁস যাতে গরম পানিতে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাঙ্গামাটি অঞ্চল (জেলাসমূহ: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি)
ধান আউশ
পর্যায়:ফুল আসা
পাতার ব্লাস্ট ও দাগ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
উচ্চ আর্দ্রতার কারনে (উষ্ণ ও আদ্র) ফসলে পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমনের সম্ভাবনা বেশী থাকে, সেইজন্য সর্বদা পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
গলমাছি, সাদাপিঠ গাছফড়িং, বাদামি গাছফড়িং এবং পাতামোড়ানো পোকার আক্রমন হলে ম্যলাথিয়ন ৫৭ইসি অথবা ফেনিট্রিথিয়ন ৫০ইসি @২.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
এ সময়ে ধান ক্ষেতে মাজরা পোকা, গান্ধিপোকা, শিষকাটা লেদাপোকা এবং বাদামি গাছ ফড়িং এর আক্রমন হতে পারে। দমনের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ইসি/ ফেনিট্রিথিয়ন ৫০ইসি/ ইমিডাক্লোপ্রিড ২০ এসএল @২.০ মিলি/লি: পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। শিষকাটা লেদাপোকা দমনের জন্য কার্বারিল ৮৫ডব্লিউপি @ ৩.০ গ্রাম/লি: পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
খোলপোড়া রোগ থেকে ধান ক্ষেত রক্ষার জন্য বাঁধ পরিষ্কার রাখুন এবং ঘাস ও আবর্জনা সরিয়ে ফেলুন। আক্রমন দেখা গেলে প্রোপিকোনাজল অথবা হেক্সাকোনাজল @ ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সব ধরনের বালাইনাশক রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা প্রয়োগ করা উত্তম।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে এবং জমিতে অন্যান্য অন্তর্বর্তী পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়া গাছের চারা (যেমন আম, নারকেল, তালগাছ, নিম) রোপণের জন্য অনুকূল।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য বাগানে সুবিধা জনক দূরত্বে ছোট ছোট নালার ব্যবস্থা রাখুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁস যাতে গরম পানিতে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বরিশাল অঞ্চল (জেলাসমূহ: বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর)
ধান আউশ
পর্যায়:ফুল আসা
পাতার ব্লাস্ট ও দাগ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
উচ্চ আর্দ্রতার কারনে (উষ্ণ ও আদ্র) ফসলে পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমনের সম্ভাবনা বেশী থাকে, সেইজন্য সর্বদা পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
গলমাছি, সাদাপিঠ গাছফড়িং, বাদামি গাছফড়িং এবং পাতামোড়ানো পোকার আক্রমন হলে ম্যলাথিয়ন ৫৭ইসি অথবা ফেনিট্রিথিয়ন ৫০ইসি @২.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
এ সময়ে ধান ক্ষেতে মাজরা পোকা, গান্ধিপোকা, শিষকাটা লেদাপোকা এবং বাদামি গাছ ফড়িং এর আক্রমন হতে পারে। দমনের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ইসি/ ফেনিট্রিথিয়ন ৫০ইসি/ ইমিডাক্লোপ্রিড ২০ এসএল @২.০ মিলি/লি: পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। শিষকাটা লেদাপোকা দমনের জন্য কার্বারিল ৮৫ডব্লিউপি @ ৩.০ গ্রাম/লি: পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
খোলপোড়া রোগ থেকে ধান ক্ষেত রক্ষার জন্য বাঁধ পরিষ্কার রাখুন এবং ঘাস ও আবর্জনা সরিয়ে ফেলুন। আক্রমন দেখা গেলে প্রোপিকোনাজল অথবা হেক্সাকোনাজল @ ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সব ধরনের বালাইনাশক রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা প্রয়োগ করা উত্তম।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে এবং জমিতে অন্যান্য অন্তর্বর্তী পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়া গাছের চারা (যেমন আম, নারকেল, তালগাছ, নিম) রোপণের জন্য অনুকূল।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য বাগানে সুবিধা জনক দূরত্বে ছোট ছোট নালার ব্যবস্থা রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁস যাতে গরম পানিতে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বগুড়া অঞ্চল (জেলাসমূহ: বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ)
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রোগবালাই যেমন ধানের ব্লাস্ট,ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ,বাদামি দাগ এবং পোকামাকড় যেমন মাজরা পোকা, পামরি পোকা, থ্রিপস , পাতামোড়ানো পোকা ইত্যাদির উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। আক্রমণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রনের জন্য কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাঝরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন কতে হবে। আক্রমন দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলতে হবে। পোকা নিধনের জন্য বিঘাপ্রতি ৫টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ১০জি হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে নলিমাছি বা গলমাছি এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: কার্বোফুরান হেক্টর প্রতি ১০ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে এবং জমিতে অন্যান্য অন্তর্বর্তী পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়া গাছের চারা (যেমন আম, নারকেল, তালগাছ, নিম) রোপণের জন্য অনুকূল।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য বাগানে সুবিধা জনক দূরত্বে ছোট ছোট নালার ব্যবস্থা রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁস যাতে গরম পানিতে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
কুমিল্লা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং কুমিল্লা)
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রোগবালাই যেমন ধানের ব্লাস্ট,ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ,বাদামি দাগ এবং পোকামাকড় যেমন মাজরা পোকা, পামরি পোকা, থ্রিপস , পাতামোড়ানো পোকা ইত্যাদির উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। আক্রমণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রনের জন্য কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাঝরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন কতে হবে। আক্রমন দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলতে হবে। পোকা নিধনের জন্য বিঘাপ্রতি ৫টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ১০জি হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
সব্জি জাতীয় ফসল যেমন, টমেটো, মরিচ এবং বেগুনে খুঁটি দিতে হবে কারণ এই সময়ে বাতাস তুলনামূলকভাবে প্রবল থাকে।
ফসলের ক্ষেতে জমে থাকা পানি অপসারণে পর্যাপ্ত নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
অধিক উৎপাদনের জন্য কাকরোল এবং পটল ফসলে এই পর্যায়ে এবং বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে হাত পরাগায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সাথে সবজি ফসলের পুরাতন পাতা ছেঁটে ফেলতে হবে এবং জমিতে অন্যান্য অন্তর্বর্তী পরিচর্যা অব্যাহত রাখতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়া গাছের চারা (যেমন আম, নারকেল, তালগাছ, নিম) রোপণের জন্য অনুকূল।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য বাগানে সুবিধা জনক দূরত্বে ছোট ছোট নালার ব্যবস্থা রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁস যাতে গরম পানিতে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাজশাহী অঞ্চল (জেলাসমূহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর এবং রাজশাহী)
পাট
পর্যায়:অংগজ
পোকা মাকড় ও রোগ বালাই এর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পাট ক্ষেত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আগাছামুক্ত রাখুন।
পাটের বর্ধনশীল পর্যায়ে জমিতে যাতে অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে সেজন্য সেচ ও নিষ্কাশন নালা আগাছা মুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন।
বপনের ২০-২৫ দিন পর ২য় নিড়ানি, মালচিং ও চারা পাতলা করণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতিতে এবং ফসলের বর্তমান অবস্থায় পাটক্ষেতে উরচুংগা পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে দমনের জন্য ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০মিলি পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
ফসলের বর্তমান অবস্থায় পাটক্ষেতে হলুদ মাকড় এর আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে সালফার জাতীয় মাকড় নাশক যেমন, থিয়োভিট ৮০ডব্লিউজি ৩.৫গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ফসলের এ পর্যায়ে পাটক্ষেতে শুঁয়োপোকা ও সেমিলুপার পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে হাত বাছাই এর মাধ্যমে পাতা সহ পোকার ডিম ও কীড়া সংগ্রহ করে আগুনে পুড়িয়ে অথবা কেরোসিন পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। আক্রমণ প্রকট হলে ডায়াজিনন ৬০ইসি ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
চলমান আবহাওয়া পরিস্থিতিতে এবং ফসলের বর্তমান অবস্থায় পাট ক্ষেতে চারা ঝলসানো ও কান্ডপচা রোগের আক্রমণ দেখা যেতে পারে। রোগ দমনের জন্য ম্যানকোজেব (ডাইথেন-এম ৪৫/ইন্ডোফিল এম ৪৫) ২ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে মেঘমুক্ত আবহাওয়ায় স্প্রে করুন। সব ধরনের বালাই ব্যবস্থাপনা মেঘমুক্ত ও রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় করা উত্তম।
বপনের ৪০-৫০ দিন পর ৩য় ও শেষ নিড়ানি, মালচিং ও চারা পাতলা করণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। এ পর্যায়ে যে সমস্ত চারা তুলনামূলকভাবে দুর্বল ও বৃদ্ধি কম