কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
জাতীয় বুলেটিন
তারিখ: 0৫ জুলাই ২0২৩
০৫ জুলাই ২০২৩ (বুধবার)
সময়কালঃ ০৫.০৭.২০২৩ - ০৯.০৭.২০২৩
দেশের বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান (০৫ জুলাই ২০২৩, সকাল ০৬ টা পর্যন্ত ) এবং ০৪ জুলাই ২০২৩ এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ০৫ জুলাই ২০২৩ এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিচে দেওয়া হলো:
সপ্তাহের শেষে (০৪ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত) আবহাওয়া প্যারামিটারের স্থানিক বন্টন
আবহাওয়া পূর্বাভাস ০৪.০৭.২০২৩ হতে ০৯.০৭.২০২৩ পর্যন্ত
NOAA/VIIRS BLENDED NDVI composite for the week. No. 26 (25.06.2023 to 01.07.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VCI composite for the week No. 26 (25.06.2023 to 01.07.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED TCI composite for the week No. 26 (25.06.2023 to 01.07.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VHI composite for the week No. 26 (25.06.2023 to 01.07.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
মূখ্য কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
খুলনা অঞ্চল (জেলাসমূহ: বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা)
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য ক্ষেত নিবিড় পর্যবেক্ষন করুন। আক্রমন দেখা গেলে ডায়াজিনন ৬০ইসি @ ৩.০মিলি/লি: অথবা কার্বোসালফান ২০ ইসি @২.০ মিলি/লি: হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
উচ্চ আর্দ্রতার কারনে (উষ্ণ ও আদ্র) ফসলে পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমনের সম্ভাবনা বেশী থাকে, সেইজন্য সর্বদা পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
গলমাছি, সাদাপিঠ গাছফড়িং, বাদামি গাছফড়িং এবং পাতামোড়ানো পোকার আক্রমন হলে ম্যলাথিয়ন ৫৭ইসি অথবা ফেনিট্রিথিয়ন ৫০ইসি ২.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সবজি
দমকা হাওয়া থেকে গাছের ক্ষতি (বিশেষ করে লতা জাতীয় ফসল) এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
বর্ষার এই মৌসুম নতুন বাগান করার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত সময়।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে কুমড়া, ঝিঙে,পটল এবং শসায় লাল-কুমড়া বিটলের আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। নিয়ন্ত্রণ করতে, ম্যালাথিয়ন ৫৭ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১.০ মিলি মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাইমেথোয়েট @ ২ মিলি বা অ্যাসিফেট @ ১.৫ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। টমেটো, বেগুন এবং মরিচ বীজতলায় বপন করুন এবং উপযুক্ত সেচ নিশ্চিত করে কুমড়া, মটরশুটি, শিম,ঢেঁড়শ ইত্যাদি মূল জমিতে সরাসরি বপন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্ষা মৌসুমের এই সময়ে আম, পেয়ারা এবং নারিকেল গাছের চারা রোপণের জন্য গর্ত প্রস্তুত করুন। এ সময়ে কলার সাকার রোপণ করা যেতে পারে।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় উদ্যান ফসল যেমন, ডালিম গাছে ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ এবং লেবু গাছে লিফ মাইনর পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
প্রবল বাতাসে কলাগাছ হেলে পড়া রোধে গাছে খুঁটি দিন।
বর্তমান আবহাওয়া পেঁপে গাছে মিলিবাগ পোকার আক্রমণের জন্য অনুকূল। পোকার আক্রমণ রোধে ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ইসি (সুমিথিয়ন) @১.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এছাড়াও ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি @২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পিঁপড়ার বসতিতে প্রয়োগ করে পিঁপড়া দমন করা যেতে পারে।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
মাছের আংশিক আহরণ করুন এবং আহরণের ৩/৪ দিন পর আহরিত মাছের ১০% বেশি পুনরায় মজুদ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাঙ্গামাটি অঞ্চল (জেলাসমূহ: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি)
ধান আমন
পর্যায়:বীজতলা
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
ধান আউশ
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
সবজি
দমকা হাওয়া থেকে গাছের ক্ষতি (বিশেষ করে লতা জাতীয় ফসল) এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
বর্ষার এই মৌসুম নতুন বাগান করার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত সময়।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে কুমড়া, ঝিঙে,পটল এবং শসায় লাল-কুমড়া বিটলের আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। নিয়ন্ত্রণ করতে, ম্যালাথিয়ন ৫৭ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১.০ মিলি মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাইমেথোয়েট @ ২ মিলি বা অ্যাসিফেট @ ১.৫ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। টমেটো, বেগুন এবং মরিচ বীজতলায় বপন করুন এবং উপযুক্ত সেচ নিশ্চিত করে কুমড়া, মটরশুটি, শিম,ঢেঁড়শ ইত্যাদি মূল জমিতে সরাসরি বপন করুন।
উদ্যান ফসল
বর্ষা মৌসুমের এই সময়ে আম, পেয়ারা এবং নারিকেল গাছের চারা রোপণের জন্য গর্ত প্রস্তুত করুন। এ সময়ে কলার সাকার রোপণ করা যেতে পারে।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় উদ্যান ফসল যেমন, ডালিম গাছে ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ এবং লেবু গাছে লিফ মাইনর পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
প্রবল বাতাসে কলাগাছ হেলে পড়া রোধে গাছে খুঁটি দিন।
বর্তমান আবহাওয়া পেঁপে গাছে মিলিবাগ পোকার আক্রমণের জন্য অনুকূল। পোকার আক্রমণ রোধে ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ইসি (সুমিথিয়ন) @১.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এছাড়াও ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি @২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পিঁপড়ার বসতিতে প্রয়োগ করে পিঁপড়া দমন করা যেতে পারে।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
মাছের আংশিক আহরণ করুন এবং আহরণের ৩/৪ দিন পর আহরিত মাছের ১০% বেশি পুনরায় মজুদ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বরিশাল অঞ্চল (জেলাসমূহ: বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর)
ধান আমন
পর্যায়:বীজতলা
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমন ধানের বপনের কাজ শেষ করুন। আগাছামুক্ত বীজতলা নিশ্চিত করুন।
ধান আউশ
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
সবজি
দমকা হাওয়া থেকে গাছের ক্ষতি (বিশেষ করে লতা জাতীয় ফসল) এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
বর্ষার এই মৌসুম নতুন বাগান করার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত সময়।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে কুমড়া, ঝিঙে,পটল এবং শসায় লাল-কুমড়া বিটলের আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। নিয়ন্ত্রণ করতে, ম্যালাথিয়ন ৫৭ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১.০ মিলি মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাইমেথোয়েট @ ২ মিলি বা অ্যাসিফেট @ ১.৫ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। টমেটো, বেগুন এবং মরিচ বীজতলায় বপন করুন এবং উপযুক্ত সেচ নিশ্চিত করে কুমড়া, মটরশুটি, শিম,ঢেঁড়শ ইত্যাদি মূল জমিতে সরাসরি বপন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্ষা মৌসুমের এই সময়ে আম, পেয়ারা এবং নারিকেল গাছের চারা রোপণের জন্য গর্ত প্রস্তুত করুন। এ সময়ে কলার সাকার রোপণ করা যেতে পারে।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় উদ্যান ফসল যেমন, ডালিম গাছে ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ এবং লেবু গাছে লিফ মাইনর পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
প্রবল বাতাসে কলাগাছ হেলে পড়া রোধে গাছে খুঁটি দিন।
বর্তমান আবহাওয়া পেঁপে গাছে মিলিবাগ পোকার আক্রমণের জন্য অনুকূল। পোকার আক্রমণ রোধে ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ইসি (সুমিথিয়ন) @১.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এছাড়াও ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি @২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পিঁপড়ার বসতিতে প্রয়োগ করে পিঁপড়া দমন করা যেতে পারে।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
মাছের আংশিক আহরণ করুন এবং আহরণের ৩/৪ দিন পর আহরিত মাছের ১০% বেশি পুনরায় মজুদ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বগুড়া অঞ্চল (জেলাসমূহ: বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ)
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রোগবালাই যেমন ধানের ব্লাস্ট,ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ,বাদামি দাগ এবং পোকামাকড় যেমন মাজরা পোকা, পামরি পোকা, থ্রিপস , পাতামোড়ানো পোকা ইত্যাদির উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। আক্রমণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রনের জন্য কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাঝরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন কতে হবে। আক্রমন দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলতে হবে। পোকা নিধনের জন্য বিঘাপ্রতি ৫টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ১০জি হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সবজি
দমকা হাওয়া থেকে গাছের ক্ষতি (বিশেষ করে লতা জাতীয় ফসল) এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
বর্ষার এই মৌসুম নতুন বাগান করার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত সময়।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে কুমড়া, ঝিঙে,পটল এবং শসায় লাল-কুমড়া বিটলের আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। নিয়ন্ত্রণ করতে, ম্যালাথিয়ন ৫৭ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১.০ মিলি মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাইমেথোয়েট @ ২ মিলি বা অ্যাসিফেট @ ১.৫ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। টমেটো, বেগুন এবং মরিচ বীজতলায় বপন করুন এবং উপযুক্ত সেচ নিশ্চিত করে কুমড়া, মটরশুটি, শিম,ঢেঁড়শ ইত্যাদি মূল জমিতে সরাসরি বপন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্ষা মৌসুমের এই সময়ে আম, পেয়ারা এবং নারিকেল গাছের চারা রোপণের জন্য গর্ত প্রস্তুত করুন। এ সময়ে কলার সাকার রোপণ করা যেতে পারে।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় উদ্যান ফসল যেমন, ডালিম গাছে ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ এবং লেবু গাছে লিফ মাইনর পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
প্রবল বাতাসে কলাগাছ হেলে পড়া রোধে গাছে খুঁটি দিন।
বর্তমান আবহাওয়া পেঁপে গাছে মিলিবাগ পোকার আক্রমণের জন্য অনুকূল। পোকার আক্রমণ রোধে ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ইসি (সুমিথিয়ন) @১.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এছাড়াও ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি @২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পিঁপড়ার বসতিতে প্রয়োগ করে পিঁপড়া দমন করা যেতে পারে।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
মাছের আংশিক আহরণ করুন এবং আহরণের ৩/৪ দিন পর আহরিত মাছের ১০% বেশি পুনরায় মজুদ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
কুমিল্লা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং কুমিল্লা)
ধান আমন
পর্যায়:বীজতলা
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমন ধানের বপনের কাজ শেষ করুন। আগাছামুক্ত বীজতলা নিশ্চিত করুন।
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য ক্ষেত নিবিড় পর্যবেক্ষন করুন। আক্রমন দেখা গেলে ডায়াজিনন ৬০ইসি @ ৩.০মিলি/লি: অথবা কার্বোসালফান ২০ ইসি @২.০ মিলি/লি: হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
উচ্চ আর্দ্রতার কারনে (উষ্ণ ও আদ্র) ফসলে পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমনের সম্ভাবনা বেশী থাকে, সেইজন্য সর্বদা পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
গলমাছি, সাদাপিঠ গাছফড়িং, বাদামি গাছফড়িং এবং পাতামোড়ানো পোকার আক্রমন হলে ম্যলাথিয়ন ৫৭ইসি অথবা ফেনিট্রিথিয়ন ৫০ইসি ২.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হলুদ মাজরা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ধানের মাজরা পোকা, গল মাছি, সাদা এবং বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণ দেখা দিলে কার্বফুরান ৩ জি@ ৩৩ কেজি প্রতি হেক্টরে এবং কাটুই পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ক্লোরোপাইরিফস অথবা ডাইক্লোরোভেক্স অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
সবজি
দমকা হাওয়া থেকে গাছের ক্ষতি (বিশেষ করে লতা জাতীয় ফসল) এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
বর্ষার এই মৌসুম নতুন বাগান করার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত সময়।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতে কুমড়া, ঝিঙে,পটল এবং শসায় লাল-কুমড়া বিটলের আক্রমণের সম্ভাবনা আছে। নিয়ন্ত্রণ করতে, ম্যালাথিয়ন ৫৭ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১.০ মিলি মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাইমেথোয়েট @ ২ মিলি বা অ্যাসিফেট @ ১.৫ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। টমেটো, বেগুন এবং মরিচ বীজতলায় বপন করুন এবং উপযুক্ত সেচ নিশ্চিত করে কুমড়া, মটরশুটি, শিম,ঢেঁড়শ ইত্যাদি মূল জমিতে সরাসরি বপন করুন।
উদ্যান ফসল
বর্ষা মৌসুমের এই সময়ে আম, পেয়ারা এবং নারিকেল গাছের চারা রোপণের জন্য গর্ত প্রস্তুত করুন। এ সময়ে কলার সাকার রোপণ করা যেতে পারে।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় উদ্যান ফসল যেমন, ডালিম গাছে ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ এবং লেবু গাছে লিফ মাইনর পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
প্রবল বাতাসে কলাগাছ হেলে পড়া রোধে গাছে খুঁটি দিন।
বর্তমান আবহাওয়া পেঁপে গাছে মিলিবাগ পোকার আক্রমণের জন্য অনুকূল। পোকার আক্রমণ রোধে ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ইসি (সুমিথিয়ন) @১.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এছাড়াও ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি @২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পিঁপড়ার বসতিতে প্রয়োগ করে পিঁপড়া দমন করা যেতে পারে।
গবাদি পশু
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা প্রদান করুন।
পশুর থাকার জায়গার মেঝেতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
গবাদি পশু উঁচু ও পরিষ্কার জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খেতে দিন। পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
মাছের আংশিক আহরণ করুন এবং আহরণের ৩/৪ দিন পর আহরিত মাছের ১০% বেশি পুনরায় মজুদ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাজশাহী অঞ্চল (জেলাসমূহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর এবং রাজশাহী)
ধান আমন
পর্যায়:বীজতলা
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রোগবালাই যেমন ধানের ব্লাস্ট,ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ,বাদামি দাগ এবং পোকামাকড় যেমন মাজরা পোকা, পামরি পোকা, থ্রিপস , পাতামোড়ানো পোকা ইত্যাদির উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য মাঠ পরিদর্শন করতে হবে। আক্রমণ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রনের জন্য কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফসলের এ পর্যায়ে ধান ক্ষেতে মাঝরা পোকার আক্রমন দেখা দিতে পারে। এ জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষন কতে হবে। আক্রমন দেখা গেলে হাতজাল দিয়ে পোকা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে অথবা মাটিতে পুঁতে মেরে ফেলতে হবে। পোকা নিধনের জন্য বিঘাপ্রতি ৫টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করা যেতে পারে। এ ছাড়া পোকা দমনের জন্য ডায়াজিনন ১০জি হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হারে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ফসলের এ পর্যায়ে ক্ষেতে পাতার ব্লাস্ট ও বাদামি দাগ রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ৬.০ গ্রাম হারে ট্রুপার অথবা নাটিভো মিশিয়ে ১০-১৫দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ড