গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান (০২ অগাস্ট ২০২৩, সকাল ০৬ টা পর্যন্ত ) এবং ০১ অগাস্ট ২০২৩ এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ০২ অগাস্ট ২০২৩ এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিচে দেওয়া হলো:
সপ্তাহের শেষে (০১ অগাস্ট ২০২৩ পর্যন্ত) আবহাওয়া প্যারামিটারের স্থানিক বন্টন
আবহাওয়া পূর্বাভাস ০১.০৮.২০২৩ হতে ০৬.০৮.২০২৩ পর্যন্ত
NOAA/VIIRS BLENDED NDVI composite for the week. No. 30 (23.07.2023 to 29.07.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VCI composite for the week No. 30 (23.07.2023 to 29.07.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED TCI composite for the week No. 30 (23.07.2023 to 29.07.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VHI composite for the week No. 30 (23.07.2023 to 29.07.2023) over Agricultural regions of Bangladesh
মূখ্য কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
খুলনা অঞ্চল (জেলাসমূহ: বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা)
ধান আমন
পর্যায়:বীজতলা
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমন ধানের বপনের কাজ শেষ করুন। আগাছামুক্ত বীজতলা নিশ্চিত করুন।
ধান আউশ
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন সবজির (বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো) বীজতলায় সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।
বর্ষার কারণে চারার ক্ষতি এড়াতে বীজতলায় বহনযোগ্য স্বচ্ছ পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। ছাউনির উচ্চতা মাঝের অংশে ৭৫ সেমি এবং উভয় পাশে ৬০ সেমি হতে হবে। এই পদ্ধতি ব্যবহারে ফলে বীজের ভাল অঙ্কুরোদগম নিশ্চিত হবে এবং বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পরে সুস্থ চারা পাওয়া যাবে।
কুমড়া জাতীয় ফসল যেমন লাউ, মিষ্টি কুমড়া,শশা ইত্যাদির ক্ষেত্রে, বাঁশের মাচা তেরি করে দিতে হবে যেন ডগা গুলি মাচার উপর লতিয়ে বাড়তে পারে। জমিতে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সব্জি ক্ষেতে আগাছা দমনের জন্য জমিতে নিড়ানি দিতে হবে এবং মাটি দিয়ে গাছের গোড়া বেধে দিতে হবে যাতে গাছ খাড়া হয়ে থাকে ও গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
এ সময়ে গ্রীষ্মকালীন লাউ জাতীয় ফসলে (মিষ্টি কুমড়া, লাউ, করলা, কাকরোল, পটল ইত্যাদি) ফলের মাছি পোকা, লাল কুমড়া বিটল পোকা এবং এপিলাকনা বিটল পোকার আক্রমণ হতে পারে। এই পোকা নিয়ন্ত্রণে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি @ ১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে জমিতে স্প্রে করুন।
জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
প্রবল বাতাসে কলাগাছ হেলে পড়া রোধে গাছে খুঁটি দিন।
বর্তমান আবহাওয়া পেঁপে গাছে মিলিবাগ পোকার আক্রমণের জন্য অনুকূল। পোকার আক্রমণ রোধে ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ইসি (সুমিথিয়ন)@১.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এছাড়াও ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি @ ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পিঁপড়ার বসতিতে প্রয়োগ করে পিঁপড়া দমন করা যেতে পারে।
আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় কলাগাছে সিগাটোকা রোগের আক্রমণ হতে পারে। সতর্কতা হিসাবে, সিউডোমোনাস ২০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। মারাত্মক আক্রমণের ক্ষেত্রে ১.০ মিলি হেক্সাকোনাজল বা প্রোপিকোনাজল প্রতি লিটার পানিতে স্টিকার সহ মিশিয়ে পাতার উভয় পৃষ্ঠে স্প্রে করা যেতে পারে।
পানিতে নিমজ্জিত মাঠে গবাদি পশুকে ঘাস খাওয়ানো যাবে না।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট /ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গোয়ালঘরে যেন বৃষ্টির পানি জমতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
গবাদি পশু অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হলে হাঁসমুরগীকে ভাতের সাথে টেট্রাসাইক্লিন পাউডার খাওয়ান।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
মাছের আংশিক আহরণ করুন এবং আহরণের ৩/৪ দিন পর আহরিত মাছের ১০% বেশি পুনরায় মজুদ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাঙ্গামাটি অঞ্চল (জেলাসমূহ: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি)
ধান আমন
পর্যায়:কুশি গজানো
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন সবজির (বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো) বীজতলায় সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।
বর্ষার কারণে চারার ক্ষতি এড়াতে বীজতলায় বহনযোগ্য স্বচ্ছ পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। ছাউনির উচ্চতা মাঝের অংশে ৭৫ সেমি এবং উভয় পাশে ৬০ সেমি হতে হবে। এই পদ্ধতি ব্যবহারে ফলে বীজের ভাল অঙ্কুরোদগম নিশ্চিত হবে এবং বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পরে সুস্থ চারা পাওয়া যাবে।
কুমড়া জাতীয় ফসল যেমন লাউ, মিষ্টি কুমড়া,শশা ইত্যাদির ক্ষেত্রে, বাঁশের মাচা তেরি করে দিতে হবে যেন ডগা গুলি মাচার উপর লতিয়ে বাড়তে পারে। জমিতে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সব্জি ক্ষেতে আগাছা দমনের জন্য জমিতে নিড়ানি দিতে হবে এবং মাটি দিয়ে গাছের গোড়া বেধে দিতে হবে যাতে গাছ খাড়া হয়ে থাকে ও গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
এ সময়ে গ্রীষ্মকালীন লাউ জাতীয় ফসলে (মিষ্টি কুমড়া, লাউ, করলা, কাকরোল, পটল ইত্যাদি) ফলের মাছি পোকা, লাল কুমড়া বিটল পোকা এবং এপিলাকনা বিটল পোকার আক্রমণ হতে পারে। এই পোকা নিয়ন্ত্রণে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি @ ১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে জমিতে স্প্রে করুন।
জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
প্রবল বাতাসে কলাগাছ হেলে পড়া রোধে গাছে খুঁটি দিন।
বর্তমান আবহাওয়া পেঁপে গাছে মিলিবাগ পোকার আক্রমণের জন্য অনুকূল। পোকার আক্রমণ রোধে ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ইসি (সুমিথিয়ন)@১.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এছাড়াও ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি @ ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পিঁপড়ার বসতিতে প্রয়োগ করে পিঁপড়া দমন করা যেতে পারে।
আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় কলাগাছে সিগাটোকা রোগের আক্রমণ হতে পারে। সতর্কতা হিসাবে, সিউডোমোনাস ২০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। মারাত্মক আক্রমণের ক্ষেত্রে ১.০ মিলি হেক্সাকোনাজল বা প্রোপিকোনাজল প্রতি লিটার পানিতে স্টিকার সহ মিশিয়ে পাতার উভয় পৃষ্ঠে স্প্রে করা যেতে পারে।
পানিতে নিমজ্জিত মাঠে গবাদি পশুকে ঘাস খাওয়ানো যাবে না।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট /ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গোয়ালঘরে যেন বৃষ্টির পানি জমতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
গবাদি পশু অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হলে হাঁসমুরগীকে ভাতের সাথে টেট্রাসাইক্লিন পাউডার খাওয়ান।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
মাছের আংশিক আহরণ করুন এবং আহরণের ৩/৪ দিন পর আহরিত মাছের ১০% বেশি পুনরায় মজুদ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বরিশাল অঞ্চল (জেলাসমূহ: বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর)
ধান আমন
পর্যায়:চারা রোপণ
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন সবজির (বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো) বীজতলায় সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।
বর্ষার কারণে চারার ক্ষতি এড়াতে বীজতলায় বহনযোগ্য স্বচ্ছ পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। ছাউনির উচ্চতা মাঝের অংশে ৭৫ সেমি এবং উভয় পাশে ৬০ সেমি হতে হবে। এই পদ্ধতি ব্যবহারে ফলে বীজের ভাল অঙ্কুরোদগম নিশ্চিত হবে এবং বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পরে সুস্থ চারা পাওয়া যাবে।
কুমড়া জাতীয় ফসল যেমন লাউ, মিষ্টি কুমড়া,শশা ইত্যাদির ক্ষেত্রে, বাঁশের মাচা তেরি করে দিতে হবে যেন ডগা গুলি মাচার উপর লতিয়ে বাড়তে পারে। জমিতে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সব্জি ক্ষেতে আগাছা দমনের জন্য জমিতে নিড়ানি দিতে হবে এবং মাটি দিয়ে গাছের গোড়া বেধে দিতে হবে যাতে গাছ খাড়া হয়ে থাকে ও গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
এ সময়ে গ্রীষ্মকালীন লাউ জাতীয় ফসলে (মিষ্টি কুমড়া, লাউ, করলা, কাকরোল, পটল ইত্যাদি) ফলের মাছি পোকা, লাল কুমড়া বিটল পোকা এবং এপিলাকনা বিটল পোকার আক্রমণ হতে পারে। এই পোকা নিয়ন্ত্রণে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি @ ১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে জমিতে স্প্রে করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
প্রবল বাতাসে কলাগাছ হেলে পড়া রোধে গাছে খুঁটি দিন।
বর্তমান আবহাওয়া পেঁপে গাছে মিলিবাগ পোকার আক্রমণের জন্য অনুকূল। পোকার আক্রমণ রোধে ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ইসি (সুমিথিয়ন)@১.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এছাড়াও ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি @ ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পিঁপড়ার বসতিতে প্রয়োগ করে পিঁপড়া দমন করা যেতে পারে।
আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় কলাগাছে সিগাটোকা রোগের আক্রমণ হতে পারে। সতর্কতা হিসাবে, সিউডোমোনাস ২০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। মারাত্মক আক্রমণের ক্ষেত্রে ১.০ মিলি হেক্সাকোনাজল বা প্রোপিকোনাজল প্রতি লিটার পানিতে স্টিকার সহ মিশিয়ে পাতার উভয় পৃষ্ঠে স্প্রে করা যেতে পারে।
পানিতে নিমজ্জিত মাঠে গবাদি পশুকে ঘাস খাওয়ানো যাবে না।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট /ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গোয়ালঘরে যেন বৃষ্টির পানি জমতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
গবাদি পশু অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হলে হাঁসমুরগীকে ভাতের সাথে টেট্রাসাইক্লিন পাউডার খাওয়ান।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
মাছের আংশিক আহরণ করুন এবং আহরণের ৩/৪ দিন পর আহরিত মাছের ১০% বেশি পুনরায় মজুদ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বগুড়া অঞ্চল (জেলাসমূহ: বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ)
ধান আমন
পর্যায়:চারা রোপণ
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
ধান আউশ
পর্যায়:দানা জমাট বাঁধা
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন সবজির (বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো) বীজতলায় সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।
বর্ষার কারণে চারার ক্ষতি এড়াতে বীজতলায় বহনযোগ্য স্বচ্ছ পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। ছাউনির উচ্চতা মাঝের অংশে ৭৫ সেমি এবং উভয় পাশে ৬০ সেমি হতে হবে। এই পদ্ধতি ব্যবহারে ফলে বীজের ভাল অঙ্কুরোদগম নিশ্চিত হবে এবং বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পরে সুস্থ চারা পাওয়া যাবে।
কুমড়া জাতীয় ফসল যেমন লাউ, মিষ্টি কুমড়া,শশা ইত্যাদির ক্ষেত্রে, বাঁশের মাচা তেরি করে দিতে হবে যেন ডগা গুলি মাচার উপর লতিয়ে বাড়তে পারে। জমিতে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সব্জি ক্ষেতে আগাছা দমনের জন্য জমিতে নিড়ানি দিতে হবে এবং মাটি দিয়ে গাছের গোড়া বেধে দিতে হবে যাতে গাছ খাড়া হয়ে থাকে ও গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
এ সময়ে গ্রীষ্মকালীন লাউ জাতীয় ফসলে (মিষ্টি কুমড়া, লাউ, করলা, কাকরোল, পটল ইত্যাদি) ফলের মাছি পোকা, লাল কুমড়া বিটল পোকা এবং এপিলাকনা বিটল পোকার আক্রমণ হতে পারে। এই পোকা নিয়ন্ত্রণে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি @ ১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে জমিতে স্প্রে করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
প্রবল বাতাসে কলাগাছ হেলে পড়া রোধে গাছে খুঁটি দিন।
বর্তমান আবহাওয়া পেঁপে গাছে মিলিবাগ পোকার আক্রমণের জন্য অনুকূল। পোকার আক্রমণ রোধে ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ইসি (সুমিথিয়ন)@১.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এছাড়াও ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি @ ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পিঁপড়ার বসতিতে প্রয়োগ করে পিঁপড়া দমন করা যেতে পারে।
আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় কলাগাছে সিগাটোকা রোগের আক্রমণ হতে পারে। সতর্কতা হিসাবে, সিউডোমোনাস ২০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। মারাত্মক আক্রমণের ক্ষেত্রে ১.০ মিলি হেক্সাকোনাজল বা প্রোপিকোনাজল প্রতি লিটার পানিতে স্টিকার সহ মিশিয়ে পাতার উভয় পৃষ্ঠে স্প্রে করা যেতে পারে।
পানিতে নিমজ্জিত মাঠে গবাদি পশুকে ঘাস খাওয়ানো যাবে না।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট /ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গোয়ালঘরে যেন বৃষ্টির পানি জমতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
গবাদি পশু অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হলে হাঁসমুরগীকে ভাতের সাথে টেট্রাসাইক্লিন পাউডার খাওয়ান।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
মাছের আংশিক আহরণ করুন এবং আহরণের ৩/৪ দিন পর আহরিত মাছের ১০% বেশি পুনরায় মজুদ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
কুমিল্লা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং কুমিল্লা)
ধান আমন
পর্যায়:চারা রোপণ
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
ধান আউশ
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন সবজির (বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো) বীজতলায় সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।
বর্ষার কারণে চারার ক্ষতি এড়াতে বীজতলায় বহনযোগ্য স্বচ্ছ পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। ছাউনির উচ্চতা মাঝের অংশে ৭৫ সেমি এবং উভয় পাশে ৬০ সেমি হতে হবে। এই পদ্ধতি ব্যবহারে ফলে বীজের ভাল অঙ্কুরোদগম নিশ্চিত হবে এবং বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পরে সুস্থ চারা পাওয়া যাবে।
কুমড়া জাতীয় ফসল যেমন লাউ, মিষ্টি কুমড়া,শশা ইত্যাদির ক্ষেত্রে, বাঁশের মাচা তেরি করে দিতে হবে যেন ডগা গুলি মাচার উপর লতিয়ে বাড়তে পারে। জমিতে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সব্জি ক্ষেতে আগাছা দমনের জন্য জমিতে নিড়ানি দিতে হবে এবং মাটি দিয়ে গাছের গোড়া বেধে দিতে হবে যাতে গাছ খাড়া হয়ে থাকে ও গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
এ সময়ে গ্রীষ্মকালীন লাউ জাতীয় ফসলে (মিষ্টি কুমড়া, লাউ, করলা, কাকরোল, পটল ইত্যাদি) ফলের মাছি পোকা, লাল কুমড়া বিটল পোকা এবং এপিলাকনা বিটল পোকার আক্রমণ হতে পারে। এই পোকা নিয়ন্ত্রণে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি @ ১ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে জমিতে স্প্রে করুন।
জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে থাকলে নিষ্কাশন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
প্রবল বাতাসে কলাগাছ হেলে পড়া রোধে গাছে খুঁটি দিন।
বর্তমান আবহাওয়া পেঁপে গাছে মিলিবাগ পোকার আক্রমণের জন্য অনুকূল। পোকার আক্রমণ রোধে ফেনিট্রোথিয়ন ৫০ইসি (সুমিথিয়ন)@১.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন। এছাড়াও ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি @ ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পিঁপড়ার বসতিতে প্রয়োগ করে পিঁপড়া দমন করা যেতে পারে।
আবহাওয়া অনুকূল হওয়ায় কলাগাছে সিগাটোকা রোগের আক্রমণ হতে পারে। সতর্কতা হিসাবে, সিউডোমোনাস ২০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। মারাত্মক আক্রমণের ক্ষেত্রে ১.০ মিলি হেক্সাকোনাজল বা প্রোপিকোনাজল প্রতি লিটার পানিতে স্টিকার সহ মিশিয়ে পাতার উভয় পৃষ্ঠে স্প্রে করা যেতে পারে।
পানিতে নিমজ্জিত মাঠে গবাদি পশুকে ঘাস খাওয়ানো যাবে না।
গোয়ালঘরে জীবাণুনাশক যেমন পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট /ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন।
গোয়ালঘরে যেন বৃষ্টির পানি জমতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
গবাদি পশু অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় রাখুন।
গবাদি পশুকে শুধুমাত্র শুকনো খাবার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হলে হাঁসমুরগীকে ভাতের সাথে টেট্রাসাইক্লিন পাউডার খাওয়ান।
শুকনো খাবার খেতে দিন এবং পরিষ্কার পানি পান করান।
খোয়াড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর হাঁসমুরগী রাখুন।
হাঁসমুরগীকে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
মৎস্য
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
মাছের আংশিক আহরণ করুন এবং আহরণের ৩/৪ দিন পর আহরিত মাছের ১০% বেশি পুনরায় মজুদ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণমত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪ গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাজশাহী অঞ্চল (জেলাসমূহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর এবং রাজশাহী)
ধান আমন
পর্যায়:কুশি গজানো
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
উচ্চ আর্দ্রতার কারনে (উষ্ণ ও আদ্র) ফসলে পোকামাকড় ও রোগবালাই আক্রমনের সম্ভাবনা বেশী থাকে, সেইজন্য সর্বদা পোকামাকড় ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে কার্য্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সবজি
আগাম শীতকালীন সবজির (বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো) বীজতলায় সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।
বর্ষার কারণে চারার ক্ষতি এড়াতে বীজতলায় বহনযোগ্য স্বচ্ছ পলিথিনের ছাউনি দিতে হবে। ছাউনির উচ্চতা মাঝের অংশে ৭৫ সেমি এবং উভয় পাশে ৬০ সেমি হতে হবে। এই পদ্ধতি ব্যবহারে ফলে বীজের ভাল অঙ্কুরোদগম নিশ্চিত হবে এবং বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পরে সুস্থ চারা পাওয়া যাবে।
কুমড়া জাতীয় ফসল যেমন লাউ, মিষ্টি কুমড়া,শশা ইত্যাদির ক্ষেত্রে, বাঁশের মাচা তেরি করে দিতে হবে যেন ডগা গুলি মাচার উপর লতিয়ে বাড়তে পারে। জমিতে পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সব্জি ক্ষেতে আগাছা দমনের জন্য জমিতে নিড়ানি দিতে হবে এবং মাটি দিয়ে গাছের গোড়া বেধে দিতে হবে যাতে গাছ খাড়া হয়ে থাকে ও গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে না থাকে।
চট্টগ্রাম অঞ্চল (জেলাসমূহ: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী)