কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
জাতীয় বুলেটিন
তারিখ: ২৪ জানুয়ারী ২0২৪
২৪ জানুয়ারী ২০২৪ (বুধবার)
সময়কালঃ ২৪.০১.২০২৪ - ২৮.০১.২০২৪
দেশের বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান (২৪ জানুয়ারী ২০২৪, সকাল ০৬ টা পর্যন্ত ) এবং ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিচে দেওয়া হলো:
প্রধান বৈশিষ্ট্য সমূহ:
• গত সপ্তাহে দেশের দৈনিক উজজ্বল সূর্যকিরণ কালের গড় ৩.১০ ঘন্টা ছিল।
• গত সপ্তাহে দেশের দৈনিক বাষ্পীভবনের গড় ১.৬৬ মি.মি.ছিল ।
সপ্তাহের শেষে (২৩ জানুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত) আবহাওয়া প্যারামিটারের স্থানিক বন্টন
NOAA/VIIRS BLENDED NDVI composite for the week. No. 03 (14.01.2024 to 20.01.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VCI composite for the week No. 03 (14.01.2024 to 20.01.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED TCI composite for the week No. 03 (14.01.2024 to 20.01.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VHI composite for the week No. 03 (14.01.2024 to 20.01.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
মূখ্য কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
খুলনা অঞ্চল (জেলাসমূহ: বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:বীজতলা
বোরো ধানের বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নিন| উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করুন এবং জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন। সমবায়ভিত্তিক বীজতলা করা যেতে পারে।
অনুমোদিত জাতের বীজ ব্যবহার করুন।
বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৮৩ গ্রাম হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করুন। ইউরিয়া প্রয়োগে সমাধান না হলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করুন।
বীজের অঙ্কুরোদগম ও চারার বৃদ্ধিতে নিম্নতাপমাত্রার প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য বীজতলা রাতে পলিথিন শীট দিয়ে ঢেকে রাখুন এবং সকালে তা সরিয়ে ফেলুন। এছাড়াও রাতের বেলা সেচ দিয়ে খুব ভোরে পানি সরিয়ে ফেলে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় চারার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে, আমে শুটি মোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা গেলে আক্রান্ত ডাল ছেঁটে ফেলে সমস্ত গাছ সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলো। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যানকোজেব ০.২% + ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
আলু
পর্যায়:
জাতভেদে রোপণের ৮০-৯০ দিন পর আলু সংগ্রহের উপযুক্ত হয়।
হামপুলিং (গাছ উপড়ে ফেলা) এর ৫-৭ দিন আগে আলুর ক্ষেতে সেচ দেওয়া বন্ধ করুন। হামপুলিং এর পর মাঠে মাটির নীচে আলু ৭-১০ দিন কিউরিং এর জন্য রেখে দিতে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হলো।
রাঙ্গামাটি অঞ্চল (জেলাসমূহ: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি)
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
উদ্যান ফসল
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
বরিশাল অঞ্চল (জেলাসমূহ: বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে, আমে শুটি মোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা গেলে আক্রান্ত ডাল ছেঁটে ফেলে সমস্ত গাছ সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলো। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যানকোজেব ০.২% + ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
আলু
পর্যায়:
জাতভেদে রোপণের ৮০-৯০ দিন পর আলু সংগ্রহের উপযুক্ত হয়।
হামপুলিং (গাছ উপড়ে ফেলা) এর ৫-৭ দিন আগে আলুর ক্ষেতে সেচ দেওয়া বন্ধ করুন। হামপুলিং এর পর মাঠে মাটির নীচে আলু ৭-১০ দিন কিউরিং এর জন্য রেখে দিতে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হলো।
বগুড়া অঞ্চল (জেলাসমূহ: বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:চারা রোপণ
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ১৩ কেজি টিএসপি, ২০ কেজি এমওপি, ১৫ কেজি জিপসাম ও ১৫ কেজি দস্তা প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে, আমে শুটি মোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা গেলে আক্রান্ত ডাল ছেঁটে ফেলে সমস্ত গাছ সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলো। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যানকোজেব ০.২% + ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
কুমিল্লা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং কুমিল্লা)
গম
পর্যায়:অংগজ বৃদ্ধি
ভালো ফলনের জন্য বীজ বপনের ৫৫-৬০ দিন পর (শীষ বের হওয়ার সময়) ২য় সেচ প্রদান করুন।
গম ফসলে সালফারের ঘাটতির লক্ষণ দেখা গেলে প্রতি শতাংশে ১.০ কেজি হারে জিপসাম সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়িয়ে দিন যাতে সারির মধ্যে সঠিকভাবে সূর্যের আলো যেতে পারে।
চারার বয়স ৯০-১১০ দিন হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার শেষ উপরি প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে, আমে শুটি মোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা গেলে আক্রান্ত ডাল ছেঁটে ফেলে সমস্ত গাছ সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলো। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যানকোজেব ০.২% + ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
রাজশাহী অঞ্চল (জেলাসমূহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর এবং রাজশাহী)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:চারা রোপণ
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ১৩ কেজি টিএসপি, ২০ কেজি এমওপি, ১৫ কেজি জিপসাম ও ১৫ কেজি দস্তা প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে, আমে শুটি মোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা গেলে আক্রান্ত ডাল ছেঁটে ফেলে সমস্ত গাছ সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলো। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যানকোজেব ০.২% + ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
চট্টগ্রাম অঞ্চল (জেলাসমূহ: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী)
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
যশোর অঞ্চল (জেলাসমূহ: চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা এবং মেহেরপুর)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:বীজতলা
বোরো ধানের বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নিন| উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করুন এবং জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন। সমবায়ভিত্তিক বীজতলা করা যেতে পারে।
অনুমোদিত জাতের বীজ ব্যবহার করুন।
বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৮৩ গ্রাম হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করুন। ইউরিয়া প্রয়োগে সমাধান না হলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করুন।
বীজের অঙ্কুরোদগম ও চারার বৃদ্ধিতে নিম্নতাপমাত্রার প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য বীজতলা রাতে পলিথিন শীট দিয়ে ঢেকে রাখুন এবং সকালে তা সরিয়ে ফেলুন। এছাড়াও রাতের বেলা সেচ দিয়ে খুব ভোরে পানি সরিয়ে ফেলে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় চারার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে, আমে শুটি মোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা গেলে আক্রান্ত ডাল ছেঁটে ফেলে সমস্ত গাছ সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলো। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যানকোজেব ০.২% + ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
আলু
পর্যায়:
ফসলের এ পর্যায়ে উত্তম রুপে কন্দ গঠন ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলু ক্ষেতে সেচ প্রদান করার জন্য চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা হলো।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর সুতলী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আলু সংগ্রহের ৬০ দিন আগে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার এর সাথে গোড়া বাঁধানোর ব্যবস্থা করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর মড়ক বা নাবি ধ্বসা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ম্যানকোজেব ২গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ঢাকা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ঢাকা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী এবং টাঙ্গাইল)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
এ পর্যায়ে ভালো ফলনের জন্য ৩য় সেচ প্রদান করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়িয়ে দিন যাতে সারির মধ্যে সঠিকভাবে সূর্যের আলো যেতে পারে।
চারার বয়স ৯০-১১০ দিন হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার শেষ উপরি প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
দিনাজপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: দিনাজপুর, পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে, আমে শুটি মোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা গেলে আক্রান্ত ডাল ছেঁটে ফেলে সমস্ত গাছ সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলো। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যানকোজেব ০.২% + ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
আলু
পর্যায়:
ফসলের এ পর্যায়ে উত্তম রুপে কন্দ গঠন ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলু ক্ষেতে সেচ প্রদান করার জন্য চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা হলো।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর সুতলী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আলু সংগ্রহের ৬০ দিন আগে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার এর সাথে গোড়া বাঁধানোর ব্যবস্থা করুন।
ফরিদপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং শরীয়তপুর)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
এ পর্যায়ে ভালো ফলনের জন্য ৩য় সেচ প্রদান করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়িয়ে দিন যাতে সারির মধ্যে সঠিকভাবে সূর্যের আলো যেতে পারে।
চারার বয়স ৯০-১১০ দিন হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার শেষ উপরি প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে, আমে শুটি মোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা গেলে আক্রান্ত ডাল ছেঁটে ফেলে সমস্ত গাছ সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলো। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যানকোজেব ০.২% + ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
রংপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং রংপুর)
গম
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
পরিপক্ক ফসল সংগ্রহ করুন।
পরিপক্ক গম কর্তনের পর মাড়াই,ঝাড়াই ও রোদে শুকানোর পর গম দানায় ১২% ভাগ আদ্রতা রেখে গুদামজাত করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে, আমে শুটি মোল্ড রোগ দেখা দিতে পারে। লক্ষণ দেখা গেলে আক্রান্ত ডাল ছেঁটে ফেলে সমস্ত গাছ সাবান মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হলো। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে প্রতি লিটার পানিতে ম্যানকোজেব ০.২% + ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০ মিলি মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
আলু
পর্যায়:
ফসলের এ পর্যায়ে উত্তম রুপে কন্দ গঠন ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলু ক্ষেতে সেচ প্রদান করার জন্য চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা হলো।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর সুতলী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আলু সংগ্রহের ৬০ দিন আগে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার এর সাথে গোড়া বাঁধানোর ব্যবস্থা করুন।
সিলেট অঞ্চল (জেলাসমূহ: হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়িয়ে দিন যাতে সারির মধ্যে সঠিকভাবে সূর্যের আলো যেতে পারে।
চারার বয়স ৯০-১১০ দিন হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার শেষ উপরি প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য লিটার/বেডিং পরিস্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা দিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন। (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ)
ময়মনসিংহ অঞ্চল (জেলাসমূহ: জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা এবং শেরপুর)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
এ পর্যায়ে ভালো ফলনের জন্য ৩য় সেচ প্রদান করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
চারা গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
বর্তমান আবহাওয়া টমেটোর হলুদাভ-বাদামী দাগ রোগের জন্য অনুকূল। এর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ম্যানকোজেব ২.৫-৩.০ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ঢেঁড়শের হলুদ মোজাইক রোগ দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় বেগুন, টমেটো ও মরিচে ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে প্রতি একরে ৪০টি ফেরোমন ফাঁদ স্থাপন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজিতে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি কীটনাশক ১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কচি ফল গাছকে নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করুন।
উদ্যান ফসলের চারাকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ঘাস/পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দিন।
ঠান্ডাজনিত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ প্রদান করুন। কচি ফল গাছ ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড়/পলিথিন শীট/ চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিন।
ফল গাছের গোড়ায় মাটিতে রস ও তাপমাত্রা সংরক্ষণের জন্য আগাছা পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন এবং খড় ও জৈব আবর্জনা দিয়ে ঢেকে দিন (অর্গানিক মালচিং)।
বিরাজমান আবহওয়ায় ৩-৪ মাস বয়সী কচি কলাগাছের কান্ডে ভোমরা পোকার আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিকারে জন্য ক্লোরপাইরিফস ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
বিদ্যমান আবহাওয়া নারিকেলের কুঁড়ি পচা রোগের অনুকুল। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আশেপাশের গাছ সহ আক্রান্ত গাছের মাথায় ও কচি পাতায় ১%বোর্দো মিক্সচার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। কাজেই গবাদি পশুকে চালার নীচে রাখুন।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমিনাশক প্রদান করুন।