কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
জাতীয় বুলেটিন
তারিখ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২0২৪
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (বুধবার)
সময়কালঃ ১৪.০২.২০২৪ - ১৮.০২.২০২৪
দেশের বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সকাল ০৬ টা পর্যন্ত ) এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিচে দেওয়া হলো:
সপ্তাহের শেষে (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত) আবহাওয়া প্যারামিটারের স্থানিক বন্টন
NOAA/VIIRS BLENDED NDVI composite for the week. No. 06 (04.02.2024 to 10.02.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VCI composite for the week No. 06 (04.02.2024 to 10.02.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED TCI composite for the week No. 06 (04.02.2024 to 10.02.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VHI composite for the week No. 06 (04.02.2024 to 10.02.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
মূখ্য কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
খুলনা অঞ্চল (জেলাসমূহ: বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা)
গম
পর্যায়:দানা গঠন
সেচ প্রয়োগ করুন।
এ পর্যায়ে ভালো ফলনের জন্য ৩য় সেচ প্রদান করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:চারা রোপণ
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ১৩ কেজি টিএসপি, ২০ কেজি এমওপি, ১৫ কেজি জিপসাম ও ১৫ কেজি দস্তা প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
আলু
পর্যায়:
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর সুতলী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আলু সংগ্রহের ৬০ দিন আগে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার এর সাথে গোড়া বাঁধানোর ব্যবস্থা করুন।
রাঙ্গামাটি অঞ্চল (জেলাসমূহ: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি)
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়িয়ে দিন যাতে সারির মধ্যে সঠিকভাবে সূর্যের আলো যেতে পারে।
চারার বয়স ৯০-১১০ দিন হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার শেষ উপরি প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
বরিশাল অঞ্চল (জেলাসমূহ: বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর)
গম
পর্যায়:দানা গঠন
সেচ প্রয়োগ করুন।
এ পর্যায়ে ভালো ফলনের জন্য ৩য় সেচ প্রদান করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়িয়ে দিন যাতে সারির মধ্যে সঠিকভাবে সূর্যের আলো যেতে পারে।
চারার বয়স ৯০-১১০ দিন হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার শেষ উপরি প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
আলু
পর্যায়:
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর সুতলী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আলু সংগ্রহের ৬০ দিন আগে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার এর সাথে গোড়া বাঁধানোর ব্যবস্থা করুন।
বগুড়া অঞ্চল (জেলাসমূহ: বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ)
গম
পর্যায়:দানা গঠন
সেচ প্রয়োগ করুন।
এ পর্যায়ে ভালো ফলনের জন্য ৩য় সেচ প্রদান করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
কুমিল্লা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং কুমিল্লা)
গম
পর্যায়:ফুল আসা
সেচ প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:দানা জমাট বাঁধা
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়াতে হবে যাতে সূর্যের আলো সারির মধ্যে সঠিকভাবে যেতে পারে।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
রাজশাহী অঞ্চল (জেলাসমূহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর এবং রাজশাহী)
গম
পর্যায়:দানা গঠন
সেচ প্রয়োগ করুন।
এ পর্যায়ে ভালো ফলনের জন্য ৩য় সেচ প্রদান করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
চট্টগ্রাম অঞ্চল (জেলাসমূহ: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী)
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়িয়ে দিন যাতে সারির মধ্যে সঠিকভাবে সূর্যের আলো যেতে পারে।
চারার বয়স ৯০-১১০ দিন হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার শেষ উপরি প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
যশোর অঞ্চল (জেলাসমূহ: চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা এবং মেহেরপুর)
গম
পর্যায়:দানা গঠন
সেচ প্রয়োগ করুন।
এ পর্যায়ে ভালো ফলনের জন্য ৩য় সেচ প্রদান করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:চারা রোপণ
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ১৩ কেজি টিএসপি, ২০ কেজি এমওপি, ১৫ কেজি জিপসাম ও ১৫ কেজি দস্তা প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
আলু
পর্যায়:
জাতভেদে রোপণের ৮০-৯০ দিন পর আলু সংগ্রহের উপযুক্ত হয়।
হামপুলিং (গাছ উপড়ে ফেলা) এর ৫-৭ দিন আগে আলুর ক্ষেতে সেচ দেওয়া বন্ধ করুন। হামপুলিং এর পর মাঠে মাটির নীচে আলু ৭-১০ দিন কিউরিং এর জন্য রেখে দিতে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হলো
ঢাকা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ঢাকা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী এবং টাঙ্গাইল)
ধান বোরো
পর্যায়:দানা জমাট বাঁধা
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়াতে হবে যাতে সূর্যের আলো সারির মধ্যে সঠিকভাবে যেতে পারে।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
দিনাজপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: দিনাজপুর, পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও)
গম
পর্যায়:দানা গঠন
সেচ প্রয়োগ করুন।
এ পর্যায়ে ভালো ফলনের জন্য ৩য় সেচ প্রদান করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়িয়ে দিন যাতে সারির মধ্যে সঠিকভাবে সূর্যের আলো যেতে পারে।
চারার বয়স ৯০-১১০ দিন হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার শেষ উপরি প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে হালকা গরম পানি পান করান।
গোয়ালঘরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব জ্বালিয়ে তাপমাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
চার পাশে চটের ব্যাগ বা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস থেকে মুরগীকে রক্ষা করুন।
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
আলু
পর্যায়:
জাতভেদে রোপণের ৮০-৯০ দিন পর আলু সংগ্রহের উপযুক্ত হয়।
হামপুলিং (গাছ উপড়ে ফেলা) এর ৫-৭ দিন আগে আলুর ক্ষেতে সেচ দেওয়া বন্ধ করুন। হামপুলিং এর পর মাঠে মাটির নীচে আলু ৭-১০ দিন কিউরিং এর জন্য রেখে দিতে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হলো।
ফরিদপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং শরীয়তপুর)
ধান বোরো
পর্যায়:দানা জমাট বাঁধা
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়াতে হবে যাতে সূর্যের আলো সারির মধ্যে সঠিকভাবে যেতে পারে।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
রংপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং রংপুর)
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়িয়ে দিন যাতে সারির মধ্যে সঠিকভাবে সূর্যের আলো যেতে পারে।
চারার বয়স ৯০-১১০ দিন হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার শেষ উপরি প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
আলু
পর্যায়:
জাতভেদে রোপণের ৮০-৯০ দিন পর আলু সংগ্রহের উপযুক্ত হয়।
হামপুলিং (গাছ উপড়ে ফেলা) এর ৫-৭ দিন আগে আলুর ক্ষেতে সেচ দেওয়া বন্ধ করুন। হামপুলিং এর পর মাঠে মাটির নীচে আলু ৭-১০ দিন কিউরিং এর জন্য রেখে দিতে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হলো।
সিলেট অঞ্চল (জেলাসমূহ: হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট)
গম
পর্যায়:দানা গঠন
সেচ প্রয়োগ করুন।
এ পর্যায়ে ভালো ফলনের জন্য ৩য় সেচ প্রদান করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:দানা জমাট বাঁধা
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়াতে হবে যাতে সূর্যের আলো সারির মধ্যে সঠিকভাবে যেতে পারে।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
ময়মনসিংহ অঞ্চল (জেলাসমূহ: জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা এবং শেরপুর)
ধান বোরো
পর্যায়:কুশি গজানো
প্রতি ২ সারি পর পর গাছগুলো নাড়িয়ে দিন যাতে সারির মধ্যে সঠিকভাবে সূর্যের আলো যেতে পারে।
চারার বয়স ৯০-১১০ দিন হলে ইউরিয়া ও পটাশ সার শেষ উপরি প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
ঠান্ডার কারণে সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য হেক্সাকোনাজল/টেবুকোনাজল @১.০মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় মরিচে থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। থ্রিপস ও জাব পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ম্যালাথিয়ন ৫৭ ইসি@ ১.০মিলি/এমামেকটিন বেনজয়েট ৫% এসজি@ ০.৫ গ্রাম অথবা ডাইমেথোয়েট ৪০ ইসি@ ২.০ মিলি মিশিয়ে স্প্রে করুন।
মাটির আর্দ্রতা সংরক্ষণের জন্য সবজি ফসলে মালচ এবং ভাল পঁচা খামারজাত সার প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
বর্তমান আবহাওয়ায় কলা গাছে বোরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতিতে প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম বোরাক্স মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বিদ্যমান আবহাওয়ায় ছত্রাকের আক্রমণে কচি কাঁঠাল কালো হয়ে যেতে পারে। আক্রান্ত ফল তুলে নিয়ে ধ্বংস করে ফেলুন। আক্রমণ প্রতিরোধে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আমে ফুল আসার আগে ও ফল আসার পরে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। ফুল আসার আগে বা ফুলের প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইন্ডোফিল এম ৪৫ (ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
আম গাছ ছাতরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বারিল ৮৫ এসপি(সেভিন পাউডার) মিশিয়ে প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় আমে হপার পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ১.০মিলি সাইপারমেথ্রিন ১০ ইসি কীটনাশক মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:ফল আসা
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বহি:পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
ছাগল ও ভেড়াকে পিপিআর রোগের টিকা প্রদান করুন।
গবাদি পশুকে তরকা ও বাদলা রোগের টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন খাবারের সাথে ৫০-১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার খাওয়ান।
হাঁসমুরগী
হাঁসমুরগীর থাকার জায়গা পরিষ্কার রাখুন।
মুরগীর বসন্ত রোগের টিকা না দেওয়া থাকলে টিকা দিন।
ছত্রাকজনিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
খোয়াড়ের মুরগী সকালে একটু দেরিতে ছাড়ুন এবং সন্ধ্যায় খোয়াড়ের দরজা বন্ধ করুন।
মৎস্য
শীতকালে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে মাছ রক্ষার জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করুন (২৫০-৫০০ গ্রাম/ শতাংশ) ।
পুকুর প্রস্তুতির ব্যবস্থা নিন। কোন প্রজাতির মাছ চাষ (রুই জাতীয়, ট্যাংরা, শিং, মাগুর, পাঙ্গাস, পাবদা, শোল, তেলাপিয়া, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি ইত্যাদি) করতে চান তার পরিকল্পনা করুন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পুকুরের পানি সেচ দিয়ে তলদেশের কাল কাদা অপসারন করুন ও তলদেশ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে নিন।
জলাশয় সেচে অথবা রোটেনন প্রয়োগ করে অচাষকৃত মাছ অপসারণ করতে হবে।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন। পুকুর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিন।
বেশি পরিমাণ মাছ থাকলে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিন/ অন্য পুকুরে স্থানান্তর করুন।
ভালো মানের খাবার দিন।
পুকুরের গভীরতা ১-১.৫ মিটার বজায় রাখুন। পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
নিম্ন তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পুকুরে যেন যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ২৮-৩২°সে. মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা।
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।