কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
জাতীয় বুলেটিন
তারিখ: ২৯ মে ২0২৪
২৯ মে ২০২৪ (বুধবার)
সময়কালঃ ২৯.০৫.২০২৪ - ০২.০৬.২০২৪
দেশের বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান (২৯ মে ২০২৪, সকাল ০৬ টা পর্যন্ত ) এবং ২৮ মে ২০২৪ এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ২৯ মে ২০২৪ এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিচে দেওয়া হলো:
সপ্তাহের শেষে (২৮ মে ২০২৪ পর্যন্ত) আবহাওয়া প্যারামিটারের স্থানিক বন্টন
NOAA/VIIRS BLENDED NDVI composite for the week. No. 21 (19.05.2024 to 25.05.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VCI composite for the week No. 21 (19.05.2024 to 25.05.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED TCI composite for the week No. 21 (19.05.2024 to 25.05.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VHI composite for the week No. 21 (19.05.2024 to 25.05.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
মূখ্য কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
খুলনা অঞ্চল (জেলাসমূহ: বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা)
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
ধান বোরো
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
ফসল সংগ্রহ করুন। সংগ্রহ করার পর শস্য রোদে শুকিয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে ঠাণ্ডা করে বায়ুনিরোধক পাত্রে নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাঙ্গামাটি অঞ্চল (জেলাসমূহ: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি)
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বরিশাল অঞ্চল (জেলাসমূহ: বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর)
পাট
পর্যায়:অংগজ
বাতাসের গতি বেশি হলে দেশী পাট যে গুলো ৪ ফুটের বেশি লম্বা সে গুলো হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চার পাশের ৪-৫টি পাটগাছকে একত্রে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিকড়ে গিট এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান @৪০ কেজি/হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পাতায় মোজাইক এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ম্যালাথিয়ন @এমএল / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে খোল পোড়া এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: হেক্সাকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। টেবিউকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বাদামী দাগ এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: সার ব্যবস্থপনা, পটাশ+থিওভিট প্রয়োগ।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
বগুড়া অঞ্চল (জেলাসমূহ: বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ)
পাট
পর্যায়:অংগজ
বাতাসের গতি বেশি হলে দেশী পাট যে গুলো ৪ ফুটের বেশি লম্বা সে গুলো হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চার পাশের ৪-৫টি পাটগাছকে একত্রে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিকড়ে গিট এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান @৪০ কেজি/হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
ধান আউশ
পর্যায়:চারা রোপণ / রিকোভারি
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ০৬ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ০৭ কেজি টিএসপি, ১১ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করুন।
২০-২৫ দিন বয়সী চারা রোপণ করুন।
চারা রোপণের ১৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ০৬ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
কুমিল্লা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং কুমিল্লা)
পাট
পর্যায়:অংগজ
বাতাসের গতি বেশি হলে দেশী পাট যে গুলো ৪ ফুটের বেশি লম্বা সে গুলো হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চার পাশের ৪-৫টি পাটগাছকে একত্রে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিকড়ে গিট এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান @৪০ কেজি/হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পাতায় মোজাইক এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ম্যালাথিয়ন @এমএল / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে চুঙ্গি পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: ম্যালাথিওন ২এমএল/লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে খোল পোড়া এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: হেক্সাকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। টেবিউকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বাদামী দাগ এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: সার ব্যবস্থপনা, পটাশ+থিওভিট প্রয়োগ।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে গোড়া পচা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ২.৫-৩ গ্রাম/কেজি হারে কার্বোক্সিন দিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রাজশাহী অঞ্চল (জেলাসমূহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর এবং রাজশাহী)
পাট
পর্যায়:অংগজ
বাতাসের গতি বেশি হলে দেশী পাট যে গুলো ৪ ফুটের বেশি লম্বা সে গুলো হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চার পাশের ৪-৫টি পাটগাছকে একত্রে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিকড়ে গিট এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান @৪০ কেজি/হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বিছা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ল্যাম্বডাসাই হেলোথ্রিন @ ১ এমএল/লিটার পানি মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ধান আউশ
পর্যায়:চারা রোপণ / রিকোভারি
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ০৬ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ০৭ কেজি টিএসপি, ১১ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করুন।
২০-২৫ দিন বয়সী চারা রোপণ করুন।
চারা রোপণের ১৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ০৬ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
চট্টগ্রাম অঞ্চল (জেলাসমূহ: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী)
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে খোল পোড়া এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: হেক্সাকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। টেবিউকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বাদামী দাগ এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: সার ব্যবস্থপনা, পটাশ+থিওভিট প্রয়োগ।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
যশোর অঞ্চল (জেলাসমূহ: চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা এবং মেহেরপুর)
পাট
পর্যায়:অংগজ
বাতাসের গতি বেশি হলে দেশী পাট যে গুলো ৪ ফুটের বেশি লম্বা সে গুলো হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চার পাশের ৪-৫টি পাটগাছকে একত্রে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বিছা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ল্যাম্বডাসাই হেলোথ্রিন @ ১ এমএল/লিটার পানি মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিকড়ে গিট এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান @৪০ কেজি/হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পাতায় মোজাইক এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ম্যালাথিয়ন @এমএল / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ধান আউশ
পর্যায়:চারা রোপণ / রিকোভারি
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ০৬ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ০৭ কেজি টিএসপি, ১১ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করুন।
২০-২৫ দিন বয়সী চারা রোপণ করুন।
চারা রোপণের ১৫ দিন পর বিঘাপ্রতি ০৬ কেজি ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
ধান বোরো
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
ফসল সংগ্রহ করুন। সংগ্রহ করার পর শস্য রোদে শুকিয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে ঠাণ্ডা করে বায়ুনিরোধক পাত্রে নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করুন।
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
ঢাকা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ঢাকা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী এবং টাঙ্গাইল)
পাট
পর্যায়:অংগজ
বাতাসের গতি বেশি হলে দেশী পাট যে গুলো ৪ ফুটের বেশি লম্বা সে গুলো হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চার পাশের ৪-৫টি পাটগাছকে একত্রে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিকড়ে গিট এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান @৪০ কেজি/হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পাতায় মোজাইক এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ম্যালাথিয়ন @এমএল / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে চুঙ্গি পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: ম্যালাথিওন ২এমএল/লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে খোল পোড়া এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: হেক্সাকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। টেবিউকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বাদামী দাগ এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: সার ব্যবস্থপনা, পটাশ+থিওভিট প্রয়োগ।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে গোড়া পচা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ২.৫-৩ গ্রাম/কেজি হারে কার্বোক্সিন দিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
দিনাজপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: দিনাজপুর, পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও)
পাট
পর্যায়:অংগজ
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিকড়ে গিট এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান @৪০ কেজি/হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
প্রয়োজন অনুযায়ী হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
ফরিদপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং শরীয়তপুর)
পাট
পর্যায়:অংগজ
বাতাসের গতি বেশি হলে দেশী পাট যে গুলো ৪ ফুটের বেশি লম্বা সে গুলো হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চার পাশের ৪-৫টি পাটগাছকে একত্রে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিকড়ে গিট এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান @৪০ কেজি/হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পাতায় মোজাইক এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ম্যালাথিয়ন @এমএল / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে হলুদ মাজরা পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ধানের মাজরা পোকা, গল মাছি, সাদা এবং বাদামী গাছ ফড়িং এর আক্রমণ দেখা দিলে কার্বফুরান ৩ জি@ ৩৩ কেজি প্রতি হেক্টরে এবং কাটুই পোকার আক্রমণ দেখা দিলে ক্লোরপাইরিফস অথবা ডাইক্লোরোভেক্স অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
রংপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং রংপুর)
পাট
পর্যায়:অংগজ
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিকড়ে গিট এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান @৪০ কেজি/হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
ধান আউশ
পর্যায়:শীষ বের হওয়া
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা বালাইনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে খোল পোড়া এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: হেক্সাকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। টেবিউকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
সিলেট অঞ্চল (জেলাসমূহ: হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট)
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে চুঙ্গি পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: ম্যালাথিওন ২এমএল/লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে খোল পোড়া এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: হেক্সাকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। টেবিউকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বাদামী দাগ এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: সার ব্যবস্থপনা, পটাশ+থিওভিট প্রয়োগ।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে গোড়া পচা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ২.৫-৩ গ্রাম/কেজি হারে কার্বোক্সিন দিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।
ময়মনসিংহ অঞ্চল (জেলাসমূহ: জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা এবং শেরপুর)
পাট
পর্যায়:অংগজ
বাতাসের গতি বেশি হলে দেশী পাট যে গুলো ৪ ফুটের বেশি লম্বা সে গুলো হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য ক্ষেতের চার পাশের ৪-৫টি পাটগাছকে একত্রে বেঁধে রাখার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বীজ বপনের ৪৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার (২য় ও শেষ ডোজ) উপরি প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হলো।
নিয়মিত পাটক্ষেত পর্যবেক্ষণ করুন ও সময়োপযোগী ও কার্যকর রোগ-বালাই দমনের ব্যবস্থা নিন।
বৃষ্টিপাতের পানি সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে পাট পচানোর কাজে ব্যবহার করা যায়।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে শিকড়ে গিট এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। কার্বোফুরান @৪০ কেজি/হেক্টর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে পাতায় মোজাইক এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। ম্যালাথিয়ন @এমএল / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ধান আউশ
পর্যায়:কুশি গজানো
রেীদ্রজ্জল ও মেঘমুক্ত দিনে বিকাল বেলা কীটনাশক প্রয়োগ করা উত্তম।
চারা রোপনের ৫৬ দিন পর (কাইচ থোড় আসার ৫-৭ দিন পূর্বে) বিঘা প্রতি ৬.০ কেজি হারে ২য় (শেষ) ডোজ ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন।
বৃষ্টিপাতের পর সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে চুঙ্গি পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: ম্যালাথিওন ২এমএল/লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে খোল পোড়া এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। দমন ব্যবস্থা: হেক্সাকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। টেবিউকোনাজল ১ মিলি./লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
সবজি
বর্তমান আবহাওয়ায় টমেটো ফসলে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পাতা কোঁকড়ান রোগের আক্রমণ হতে পারে, তাই জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। আক্রান্ত গাছ তুলে ধ্বংস করে ফেলুন। কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করুন। এ রোগের বাহক সাদা মাছির আধিক্য দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ এসএল মিশিয়ে স্প্রে করুন।
দমকা বাতাসে যাতে গাছ নুয়ে না যায়, তাই কলা এবং পেঁপে গাছের সাথে খুঁটি দেওয়া যেতে পারে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থতিতে পরিপক্ক এবং অক্ষত কলার কাঁদি এবং পেঁপে ফল সংগ্রহ করুন।
বর্তমান আবহাওয়া ছত্রাকজনিত রোগের জন্য অনুকূল। ছত্রাকজনিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড (৫০%) @ ৩ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
উদ্যান ফসল
গরম আবহাওয়া এবং প্রখর সূর্যালোক থেকে রক্ষা করার জন্য সদ্য রোপণ করা গাছের চারা এবং আমের ছোট গাছকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় কলাগাছের গোড়ায় গর্তবাস কৃমির আক্রমণ দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য চারা রোপণের সময় প্রতিটি গর্তে ১ কেজি হারে নিম পাউডার প্রয়োগ করুন।
আকস্মিক বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ছত্রাক জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে কর্তনকৃত কলার কাঁদিগুলো রক্ষার জন্য শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। কর্তনকৃত ফসল নিরাপদ স্থানে রাখুন।
হেলে পড়া থেকে রক্ষার জন্য কলাগাছ, ছোট ফল গাছ এবং আখ ক্ষেতে খুঁটি দিন। আখের ক্ষেতে পাতা নীচের দিকে পেঁচিয়ে একাধিক গাছ গুচ্ছ করে একসাথে বেঁধে দিন, যাতে প্রবল বাতাসে আখ হেলে না পড়ে।
বর্তমান আবহাওয়া কলা ক্ষেতে সিগাটোকা পাতার দাগ বা পাতা পঁচা ছত্রাক রোগের জন্য অনুকূল। আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলুন এবং প্রোপিকোনাজল ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বৃষ্টিপাতের পর বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
সেচ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
গবাদি পশু
বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুকে ১৫ দিনের বিরতিতে তরকা, বাদলা, গলাফোলা, ও খুরা রোগের টিকা প্রদান করুন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য গবাদি পশুর খাবার মজুদ রাখুন।
গবাদি পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাবারের সাথে প্রতিদিন ৫০গ্রাম আয়োডিনযুক্ত লবন এবং ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মিনারেল মিক্সচার মিশিয়ে দিন।
সকাল ১০টার পর এবং বেলা ৩টার আগে খোলা জায়গায় গবাদি পশু চরানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে গবাদি পশুকে ছায়ায় রাখতে হবে।
গোয়াল ঘরে বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখুন।
উচ্চ তাপমাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি এবং তাজা ঘাস খেতে দিন।
হাঁসমুরগী
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বর্ষার প্রতিকূল সময়ের জন্য হাঁসমুরগীর খাবার মজুদ রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিন।
খাঁচা ঠাণ্ডা রাখতে চটের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
খুব সকালে এবং শেষ বিকেলে খাবার খাওয়াতে হবে
হাঁসমুরগী তাপদাহ থেকে বাঁচাতে শেডে যথাযথ বায়ু চলাচল ও সীমিত সংখ্যক হাঁসমুরগীর বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
মৎস্য
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে পরিমাণ মত ভালো মানের খাবার প্রয়োগ করুন।
মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
১৫ দিন পর পর নমুনায়ন করে মাছের বাড়ার হার ও রোগবালাই আছে কি না-পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ঠিকমত খাবার গ্রহণ করছে কি না পর্যবেক্ষণ করুন।
নিজেদের তৈরি খাবার হলে ফরমুলা অনুযায়ী আমিষসহ অন্যান্য উপাদানের শতকরা হার বজায় রাখুন।
মজুদ পরবর্তী সার নির্দিষ্ট হারে (প্রতি দিন প্রতি শতাংশে- ইউরিয়া ৬ গ্রাম , টিএসপি ৪গ্রাম) প্রয়োগ করুন।