বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমন ধানসহ অন্যান্য ফসল রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত পরামর্শসমূহ প্রদান করা হলো:
- বন্যা উপদ্রুত সকল এলাকায় ব্রি উদ্ভাবিত আলোক সংবেদনশীল উফশী জাত যেমন- বিআর৫, বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৪১, ব্রি ধান৪৬, ব্রি ধান৫৪ এবং আলোক সংবেদনশীল স্থানীয় জাত যেমন নাইজারশাইল, রাজাশাইল, কাজলশাইল ৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরাসরি বপন এবং ১৫ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে রোপণ করতে হবে।
- বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ব্রি ও বিনা উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন জাত যেমন- ব্রি ধান৩৩, ব্রি ধান৫৭, ব্রি ধান৬২, ব্রি ধান৭১, ব্রি ধান৭৫, বিনা ধান-৭ এবং বিনা ধান-১৭ সরাসরি বপন পদ্ধতিতে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত শুধুমাত্র নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন্যা আক্রান্ত এলাকায় চাষ করা যেতে পারে। উল্লেখ্য বন্যা উপদ্রুত কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুরসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে স্বপ্ন জীবনকালীন জাত এ মুহূর্তে চাষ করা যাবে না।
- যেসব এলাকায় বীজতলা করার উঁচু জমি নেই সে সমস্ত এলাকায় ভাসমান বা দাপোগ বীজতলা অথবা ট্রেতে চারা তৈরির পদক্ষেপ নিতে হবে।
- বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার পর যেসব ক্ষেতের ধান গাছ বেঁচে আছে সেসব গাছের পাতায় কাদা বা পলিমাটি লেগে থাকলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ৭ দিন পর পরিষ্কার পানি স্প্রে করে পাতা ধুয়ে দিতে হবে।
- বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ৮-১০ দিন পর ধান গাছে নতুন কুশি দেখা দিলে বিঘা প্রতি ৭-৮ কেজি ইউরিয়া এবং ৫-৬ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করুন। এছাড়াও গাছের বৃদ্ধি পর্যায় বিবেচনা করে অনুমোদিত মাত্রার ইউরিয়া ও পটাশ সার প্রয়োজন অনুযায়ী উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
- বন্যায় আক্রান্ত হয়নি এমন বাড়ন্ত আমন ধানের গাছ (রোপণের ৩০-৪০ দিন পর্যন্ত) থেকে ২-৩ টি কুশি শিকড়সহ তুলে নিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ধান ক্ষেতে রোপণ করা যেতে পারে।
- বন্যামুক্ত বা বন্যা উপদ্রুত এলাকায় যেখানে আমন ধানের বেশী বয়সের চারা (সর্বোচ্চ ৬০ দিন বয়স্ক) পাওয়া যাবে তা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর গোছাপ্রতি ৪-৫ টি চারা ঘন করে ২০ x ১৫ সেন্টিমিটার দূরতে রোপণ করতে হবে। উল্লেখ্য, শেষ চাষের সময় প্রয়োজনীয় টিএসপি (বিঘা প্রতি ১০ কেজি) ও এমওপি (বিঘা প্রতি ১৪ কেজি) সার প্রয়োগ করতে হবে এবং রোপণের ৭-১০ দিন পর বিঘা প্রতি ২০-২৫ কেজি ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
- বন্যা পরবর্তীতে ধান গাছে খোলপোড়া এবং পাতাপোড়া রোগ হতে পারে। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারসহ খোলপোড়া রোগ দমনে প্রোপিকোনাজল/নেটিভো/এমিস্টার টপ বিকাল বেলা অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। পাতাপোড়া রোগ দমনে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
- বন্যা পরবর্তী সময়ে ধান ক্ষেতে পাতা মোড়ানো এবং বাদামি গাছফড়িং এর আক্রমণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনাসহ নিয়মিত মাঠ পর্যবেক্ষণ করে ব্যাপক আক্রমণ হওয়ার পূর্বেই উপযুক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
- ধান, সবজি ও অন্যান্য দন্ডায়মান ফসলের জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
- বন্যা কবলিত জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর নতুন সবজি চাষ করুন।
- পুকুর বা জলাশয়ের পাড় ভেঙে গেলে দ্রুত মেরামত করুন বা ভাঙা অংশে জাল/বানা দিয়ে ঘিরে ফেলুন।
- বন্যার পানির সাথে ভেসে আসা অনাকাঙ্খিত মাছ পুকুরে প্রবেশ করলে তা ধরে ফেলুন।
- বন্যার পানি নেমে গেলে স্থানীয় মৎস্য অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী পুকুরে পরিমাণমত চুন এবং লবন প্রয়োগ করুন।
- বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বন্যা পরবর্তী সময়ে গবাদিপশু ও হাঁসমুরগির নানা ধরনের রোগবালাই দেখা দিতে পারে যেমন- গরুর খুরা রোগ, গলাফোলা রোগ, তড়কা, বাদলা, হাঁসমুরগির রাণীক্ষেত, ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর ইত্যাদি এবং পরজীবী বা কৃমির আক্রমণ। তাই বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে গবাদিপশু ও হাঁসমুরগিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সহযোগিতা ও পরামর্শে প্রতিষেধক টিকা প্রদান এবং কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে বন্যার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমন ধানসহ অন্যান্য ফসল রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত পরামর্শসমূহ প্রদান করা হলো:
- বন্যা উপদ্রুত সকল এলাকায় ব্রি উদ্ভাবিত আলোক সংবেদনশীল উফশী জাত যেমন- বিআর৫, বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৪১, ব্রি ধান৪৬, ব্রি ধান৫৪ এবং আলোক সংবেদনশীল স্থানীয় জাত যেমন নাইজারশাইল, রাজাশাইল, কাজলশাইল ৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরাসরি বপন এবং ১৫ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে রোপণ করতে হবে।
- বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ব্রি ও বিনা উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালীন জাত যেমন- ব্রি ধান৩৩, ব্রি ধান৫৭, ব্রি ধান৬২, ব্রি ধান৭১, ব্রি ধান৭৫, বিনা ধান-৭ এবং বিনা ধান-১৭ সরাসরি বপন পদ্ধতিতে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত শুধুমাত্র নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন্যা আক্রান্ত এলাকায় চাষ করা যেতে পারে। উল্লেখ্য বন্যা উপদ্রুত কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুরসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে স্বপ্ন জীবনকালীন জাত এ মুহূর্তে চাষ করা যাবে না।
- যেসব এলাকায় বীজতলা করার উঁচু জমি নেই সে সমস্ত এলাকায় ভাসমান বা দাপোগ বীজতলা অথবা ট্রেতে চারা তৈরির পদক্ষেপ নিতে হবে।
- বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার পর যেসব ক্ষেতের ধান গাছ বেঁচে আছে সেসব গাছের পাতায় কাদা বা পলিমাটি লেগে থাকলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ৭ দিন পর পরিষ্কার পানি স্প্রে করে পাতা ধুয়ে দিতে হবে।
- বন্যার পানি নেমে যাওয়ার ৮-১০ দিন পর ধান গাছে নতুন কুশি দেখা দিলে বিঘা প্রতি ৭-৮ কেজি ইউরিয়া এবং ৫-৬ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করুন। এছাড়াও গাছের বৃদ্ধি পর্যায় বিবেচনা করে অনুমোদিত মাত্রার ইউরিয়া ও পটাশ সার প্রয়োজন অনুযায়ী উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
- বন্যায় আক্রান্ত হয়নি এমন বাড়ন্ত আমন ধানের গাছ (রোপণের ৩০-৪০ দিন পর্যন্ত) থেকে ২-৩ টি কুশি শিকড়সহ তুলে নিয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ধান ক্ষেতে রোপণ করা যেতে পারে।
- বন্যামুক্ত বা বন্যা উপদ্রুত এলাকায় যেখানে আমন ধানের বেশী বয়সের চারা (সর্বোচ্চ ৬০ দিন বয়স্ক) পাওয়া যাবে তা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর গোছাপ্রতি ৪-৫ টি চারা ঘন করে ২০ x ১৫ সেন্টিমিটার দূরতে রোপণ করতে হবে। উল্লেখ্য, শেষ চাষের সময় প্রয়োজনীয় টিএসপি (বিঘা প্রতি ১০ কেজি) ও এমওপি (বিঘা প্রতি ১৪ কেজি) সার প্রয়োগ করতে হবে এবং রোপণের ৭-১০ দিন পর বিঘা প্রতি ২০-২৫ কেজি ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
- বন্যা পরবর্তীতে ধান গাছে খোলপোড়া এবং পাতাপোড়া রোগ হতে পারে। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহারসহ খোলপোড়া রোগ দমনে প্রোপিকোনাজল/নেটিভো/এমিস্টার টপ বিকাল বেলা অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। পাতাপোড়া রোগ দমনে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
- বন্যা পরবর্তী সময়ে ধান ক্ষেতে পাতা মোড়ানো এবং বাদামি গাছফড়িং এর আক্রমণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনাসহ নিয়মিত মাঠ পর্যবেক্ষণ করে ব্যাপক আক্রমণ হওয়ার পূর্বেই উপযুক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
- ধান, সবজি ও অন্যান্য দন্ডায়মান ফসলের জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
- বন্যা কবলিত জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর নতুন সবজি চাষ করুন।
- পুকুর বা জলাশয়ের পাড় ভেঙে গেলে দ্রুত মেরামত করুন বা ভাঙা অংশে জাল/বানা দিয়ে ঘিরে ফেলুন।
- বন্যার পানির সাথে ভেসে আসা অনাকাঙ্খিত মাছ পুকুরে প্রবেশ করলে তা ধরে ফেলুন।
- বন্যার পানি নেমে গেলে স্থানীয় মৎস্য অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী পুকুরে পরিমাণমত চুন এবং লবন প্রয়োগ করুন।
- বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বন্যা পরবর্তী সময়ে গবাদিপশু ও হাঁসমুরগির নানা ধরনের রোগবালাই দেখা দিতে পারে যেমন- গরুর খুরা রোগ, গলাফোলা রোগ, তড়কা, বাদলা, হাঁসমুরগির রাণীক্ষেত, ছাগল ও ভেড়ার পিপিআর ইত্যাদি এবং পরজীবী বা কৃমির আক্রমণ। তাই বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে গবাদিপশু ও হাঁসমুরগিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সহযোগিতা ও পরামর্শে প্রতিষেধক টিকা প্রদান এবং কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন।