কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
জাতীয় বুলেটিন
তারিখ: ১৩ নভেম্বর ২0২৪
১৩ নভেম্বর ২০২৪ (বুধবার)
সময়কালঃ ১৩.১১.২০২৪ - ১৭.১১.২০২৪
দেশের বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি
গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমান (১৩ নভেম্বর ২০২৪, সকাল ০৬ টা পর্যন্ত ) এবং ১২ নভেম্বর ২০২৪ এ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ এ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিচে দেওয়া হলো:
সপ্তাহের শেষে (১২ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত) আবহাওয়া প্যারামিটারের স্থানিক বন্টন
আবহাওয়া পূর্বাভাস ১৩.১১.২০২৪ হতে ১৮.১১.২০২৪ পর্যন্ত
NOAA/VIIRS BLENDED NDVI composite for the week. No. 45 (03.11.2024 to 09.11.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VCI composite for the week No. 45 (03.11.2024 to 09.11.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED TCI composite for the week No. 45 (03.11.2024 to 09.11.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
NOAA/ AVHRR BLENDED VHI composite for the week No. 45 (03.11.2024 to 09.11.2024) over Agricultural regions of Bangladesh
মূখ্য কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ
মধ্য মেয়াদি পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নলিখিত কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ প্রদান করা হলো:
খুলনা অঞ্চল (জেলাসমূহ: বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল এবং সাতক্ষীরা)
গম
পর্যায়:বপন
বর্তমান আবহাওয়া বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল, অনুমোদিত জাতের গম বীজ বপন করুন।
উপযুক্ত জো অবস্থায় বপনের জন্য জমি তৈরি করুন।
শেষ চাষের পূর্বে হেক্টর প্রতি ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করুন সেই সাথে যথাক্রমে ১৫০ কেজি ইউরিয়া,১৩৫ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ১১০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি বরিক এসিড বেসাল ডোজ হিসাবে জমিতে প্রয়োগ করুন।
ধান আমন
পর্যায়:দানা জমাট বাঁধা
সেচ প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ২-৫ সেমি বজায় রাখুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে লক্ষীর গু এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। সার ব্যবস্থপনা করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
বীজ বপনের ৫০-৫৫ দিন পর অর্থাৎ ফল ধরার সময় জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে সেচ দেয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:চারা
বপনের ১০-১৫ দিন পর ১ম বার সেচ প্রদান করা সহ গাছের গোড়ায় মাটি তুলে বেঁধে দেওয়ার জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হলো।
রাঙ্গামাটি অঞ্চল (জেলাসমূহ: বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটি)
ধান বোরো
পর্যায়:বীজতলা
বোরো ধানের বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নিন| উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করুন এবং জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন। সমবায়ভিত্তিক বীজতলা করা যেতে পারে।
অনুমোদিত জাতের বীজ ব্যবহার করুন।
বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৮৩ গ্রাম হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করুন। ইউরিয়া প্রয়োগে সমাধান না হলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
রাতের তাপমাত্রা কমে আসছে। নিউমোনিয়া থেকে সুরক্ষায় সকালে ও সন্ধ্যায় দুগ্ধবতী গাভী ও বাছুরকে চটের বস্তা দিয়ে জড়িয়ে দিন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:
ফসলের এ পর্যায়ে উত্তম রুপে কন্দ গঠন ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলু ক্ষেতে সেচ প্রদান করার জন্য চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা হলো।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর সুতলী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আলু সংগ্রহের ৬০ দিন আগে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার এর সাথে গোড়া বাঁধানোর ব্যবস্থা করুন।
বরিশাল অঞ্চল (জেলাসমূহ: বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর)
গম
পর্যায়:বপন
বর্তমান আবহাওয়া বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল, অনুমোদিত জাতের গম বীজ বপন করুন।
উপযুক্ত জো অবস্থায় বপনের জন্য জমি তৈরি করুন।
শেষ চাষের পূর্বে হেক্টর প্রতি ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করুন সেই সাথে যথাক্রমে ১৫০ কেজি ইউরিয়া,১৩৫ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ১১০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি বরিক এসিড বেসাল ডোজ হিসাবে জমিতে প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:বীজতলা
বোরো ধানের বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নিন| উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করুন এবং জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন। সমবায়ভিত্তিক বীজতলা করা যেতে পারে।
অনুমোদিত জাতের বীজ ব্যবহার করুন।
বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৮৩ গ্রাম হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করুন। ইউরিয়া প্রয়োগে সমাধান না হলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:চারা
বপনের ১০-১৫ দিন পর ১ম বার সেচ প্রদান করা সহ গাছের গোড়ায় মাটি তুলে বেঁধে দেওয়ার জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হলো।
বগুড়া অঞ্চল (জেলাসমূহ: বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ)
গম
পর্যায়:বপন
বর্তমান আবহাওয়া বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল, অনুমোদিত জাতের গম বীজ বপন করুন।
উপযুক্ত জো অবস্থায় বপনের জন্য জমি তৈরি করুন।
শেষ চাষের পূর্বে হেক্টর প্রতি ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করুন সেই সাথে যথাক্রমে ১৫০ কেজি ইউরিয়া,১৩৫ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ১১০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি বরিক এসিড বেসাল ডোজ হিসাবে জমিতে প্রয়োগ করুন।
ধান আমন
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
শতকরা ৮০ ভাগ ধান পরিপক্ক হলে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে ধান কর্তন করুন।
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:
ফসলের এ পর্যায়ে উত্তম রুপে কন্দ গঠন ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলু ক্ষেতে সেচ প্রদান করার জন্য চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা হলো।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর সুতলী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আলু সংগ্রহের ৬০ দিন আগে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার এর সাথে গোড়া বাঁধানোর ব্যবস্থা করুন।
কুমিল্লা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং কুমিল্লা)
ধান বোরো
পর্যায়:চারা রোপণ
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ১৩ কেজি টিএসপি, ২০ কেজি এমওপি, ১৫ কেজি জিপসাম ও ১৫ কেজি দস্তা প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:অংগজ
ফুল আসার পূর্বে অর্থাৎ বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে সেচ দেয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে কাটুই পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে দমনের জন্য ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০মিলি পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:
ফসলের এ পর্যায়ে উত্তম রুপে কন্দ গঠন ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলু ক্ষেতে সেচ প্রদান করার জন্য চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা হলো।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর সুতলী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আলু সংগ্রহের ৬০ দিন আগে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার এর সাথে গোড়া বাঁধানোর ব্যবস্থা করুন।
রাজশাহী অঞ্চল (জেলাসমূহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর এবং রাজশাহী)
গম
পর্যায়:বপন
বর্তমান আবহাওয়া বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল, অনুমোদিত জাতের গম বীজ বপন করুন।
উপযুক্ত জো অবস্থায় বপনের জন্য জমি তৈরি করুন।
শেষ চাষের পূর্বে হেক্টর প্রতি ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করুন সেই সাথে যথাক্রমে ১৫০ কেজি ইউরিয়া,১৩৫ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ১১০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি বরিক এসিড বেসাল ডোজ হিসাবে জমিতে প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:
রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ১৬০-১৭৫ কেজি ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করার জন্য চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হলো।
রোপণের ৪০-৪৫ দিন পর ২য়বার আলুর জমিতে সেচ প্রদানের জন্য চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হলো।
চট্টগ্রাম অঞ্চল (জেলাসমূহ: চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর এবং নোয়াখালী)
ধান বোরো
পর্যায়:বীজতলা
বোরো ধানের বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নিন| উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করুন এবং জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন। সমবায়ভিত্তিক বীজতলা করা যেতে পারে।
অনুমোদিত জাতের বীজ ব্যবহার করুন।
বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৮৩ গ্রাম হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করুন। ইউরিয়া প্রয়োগে সমাধান না হলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:
ফসলের এ পর্যায়ে উত্তম রুপে কন্দ গঠন ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলু ক্ষেতে সেচ প্রদান করার জন্য চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা হলো।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর সুতলী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আলু সংগ্রহের ৬০ দিন আগে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার এর সাথে গোড়া বাঁধানোর ব্যবস্থা করুন।
যশোর অঞ্চল (জেলাসমূহ: চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মাগুরা এবং মেহেরপুর)
গম
পর্যায়:বপন
বর্তমান আবহাওয়া বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল, অনুমোদিত জাতের গম বীজ বপন করুন।
উপযুক্ত জো অবস্থায় বপনের জন্য জমি তৈরি করুন।
শেষ চাষের পূর্বে হেক্টর প্রতি ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করুন সেই সাথে যথাক্রমে ১৫০ কেজি ইউরিয়া,১৩৫ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ১১০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি বরিক এসিড বেসাল ডোজ হিসাবে জমিতে প্রয়োগ করুন।
ধান আমন
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
শতকরা ৮০ ভাগ ধান পরিপক্ক হলে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে ধান কর্তন করুন।
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সরিষা
পর্যায়:অংগজ
ফুল আসার পূর্বে অর্থাৎ বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে সেচ দেয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে কাটুই পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আক্রমণ দেখা গেলে দমনের জন্য ক্লোরপাইরিফস ২০ইসি ২.০মিলি পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:অংকুরোদগম
বর্তমান আবহাওয়া আলু লাগানোর জন্য উপযুক্ত।
রোপণের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুমোদিত জাত ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হলো।
শেষ চাষের সময় আলুর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ১৬০-১৭৫ কেজি ইউরিয়া, ২০০-২২০ কেজি টিএসপি, ২৫০-৩০০ কেজি এমওপি, ১০০-১২০ কেজি জিপসাম, ৮-১০ কেজি জিংক সালফেট এবং ৬-৯কেজি বরিক এসিড সার ব্যাসাল ডোজ হিসাবে প্রয়োগ করুন।
ঢাকা অঞ্চল (জেলাসমূহ: ঢাকা, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী এবং টাঙ্গাইল)
গম
পর্যায়:বপন
বর্তমান আবহাওয়া বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল, অনুমোদিত জাতের গম বীজ বপন করুন।
উপযুক্ত জো অবস্থায় বপনের জন্য জমি তৈরি করুন।
শেষ চাষের পূর্বে হেক্টর প্রতি ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করুন সেই সাথে যথাক্রমে ১৫০ কেজি ইউরিয়া,১৩৫ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ১১০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি বরিক এসিড বেসাল ডোজ হিসাবে জমিতে প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:বীজতলা
বোরো ধানের বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নিন| উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করুন এবং জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন। সমবায়ভিত্তিক বীজতলা করা যেতে পারে।
অনুমোদিত জাতের বীজ ব্যবহার করুন।
বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৮৩ গ্রাম হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করুন। ইউরিয়া প্রয়োগে সমাধান না হলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:
রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ১৬০-১৭৫ কেজি ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করার জন্য চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হলো।
রোপণের ৪০-৪৫ দিন পর ২য়বার আলুর জমিতে সেচ প্রদানের জন্য চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হলো।
দিনাজপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: দিনাজপুর, পঞ্চগড় এবং ঠাকুরগাঁও)
গম
পর্যায়:বপন
বর্তমান আবহাওয়া বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল, অনুমোদিত জাতের গম বীজ বপন করুন।
উপযুক্ত জো অবস্থায় বপনের জন্য জমি তৈরি করুন।
শেষ চাষের পূর্বে হেক্টর প্রতি ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করুন সেই সাথে যথাক্রমে ১৫০ কেজি ইউরিয়া,১৩৫ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ১১০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি বরিক এসিড বেসাল ডোজ হিসাবে জমিতে প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:বীজতলা
বোরো ধানের বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নিন| উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করুন এবং জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন। সমবায়ভিত্তিক বীজতলা করা যেতে পারে।
অনুমোদিত জাতের বীজ ব্যবহার করুন।
বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৮৩ গ্রাম হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করুন। ইউরিয়া প্রয়োগে সমাধান না হলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:অংকুরোদগম
বর্তমান আবহাওয়া আলু লাগানোর জন্য উপযুক্ত।
রোপণের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুমোদিত জাত ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হলো।
শেষ চাষের সময় আলুর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ১৬০-১৭৫ কেজি ইউরিয়া, ২০০-২২০ কেজি টিএসপি, ২৫০-৩০০ কেজি এমওপি, ১০০-১২০ কেজি জিপসাম, ৮-১০ কেজি জিংক সালফেট এবং ৬-৯কেজি বরিক এসিড সার ব্যাসাল ডোজ হিসাবে প্রয়োগ করুন।
ফরিদপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং শরীয়তপুর)
গম
পর্যায়:বপন
বর্তমান আবহাওয়া বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল, অনুমোদিত জাতের গম বীজ বপন করুন।
উপযুক্ত জো অবস্থায় বপনের জন্য জমি তৈরি করুন।
শেষ চাষের পূর্বে হেক্টর প্রতি ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করুন সেই সাথে যথাক্রমে ১৫০ কেজি ইউরিয়া,১৩৫ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ১১০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি বরিক এসিড বেসাল ডোজ হিসাবে জমিতে প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:চারা রোপণ
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ১৩ কেজি টিএসপি, ২০ কেজি এমওপি, ১৫ কেজি জিপসাম ও ১৫ কেজি দস্তা প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
বীজ বপনের ৫০-৫৫ দিন পর অর্থাৎ ফল ধরার সময় জমিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে সেচ দেয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:
রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ১৬০-১৭৫ কেজি ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করার জন্য চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হলো।
রোপণের ৪০-৪৫ দিন পর ২য়বার আলুর জমিতে সেচ প্রদানের জন্য চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হলো।
রংপুর অঞ্চল (জেলাসমূহ: গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী এবং রংপুর)
গম
পর্যায়:অংকুরোদ্গম
ভালো ফলনের জন্য বীজ বপনের ১৭-২১ দিন পর (চারা তিন পাতা) ১ম সেচ প্রদান করুন।
গম ফসলে সালফারের ঘাটতির লক্ষণ দেখা গেলে প্রতি শতাংশে এক কেজি হারে জিপসাম ছিটানোর পর হালকা সেচ প্রয়োগ করুন।
ধান বোরো
পর্যায়:বীজতলা
বোরো ধানের বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নিন| উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করুন এবং জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন। সমবায়ভিত্তিক বীজতলা করা যেতে পারে।
অনুমোদিত জাতের বীজ ব্যবহার করুন।
বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৮৩ গ্রাম হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করুন। ইউরিয়া প্রয়োগে সমাধান না হলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:অংকুরোদগম
বর্তমান আবহাওয়া আলু লাগানোর জন্য উপযুক্ত।
রোপণের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনুমোদিত জাত ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হলো।
শেষ চাষের সময় আলুর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ১৬০-১৭৫ কেজি ইউরিয়া, ২০০-২২০ কেজি টিএসপি, ২৫০-৩০০ কেজি এমওপি, ১০০-১২০ কেজি জিপসাম, ৮-১০ কেজি জিংক সালফেট এবং ৬-৯কেজি বরিক এসিড সার ব্যাসাল ডোজ হিসাবে প্রয়োগ করুন।
সিলেট অঞ্চল (জেলাসমূহ: হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট)
গম
পর্যায়:বপন
বর্তমান আবহাওয়া বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল, অনুমোদিত জাতের গম বীজ বপন করুন।
উপযুক্ত জো অবস্থায় বপনের জন্য জমি তৈরি করুন।
শেষ চাষের পূর্বে হেক্টর প্রতি ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করুন সেই সাথে যথাক্রমে ১৫০ কেজি ইউরিয়া,১৩৫ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ১১০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি বরিক এসিড বেসাল ডোজ হিসাবে জমিতে প্রয়োগ করুন।
ধান আমন
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
শতকরা ৮০ ভাগ ধান পরিপক্ক হলে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে ধান কর্তন করুন।
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
ধান বোরো
পর্যায়:চারা রোপণ
জমি তৈরির পর বিঘাপ্রতি ১৩ কেজি ইউরিয়া (মোট ইউরিয়ার ১/৩), ১৩ কেজি টিএসপি, ২০ কেজি এমওপি, ১৫ কেজি জিপসাম ও ১৫ কেজি দস্তা প্রয়োগ করুন।
জমির পানির স্তর ৫-৭ সেমি বজায় রাখুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:
ফসলের এ পর্যায়ে উত্তম রুপে কন্দ গঠন ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলু ক্ষেতে সেচ প্রদান করার জন্য চাষীদের পরামর্শ প্রদান করা হলো।
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর সুতলী পোকা এর আক্রমণ দেখা দিতে পারে। আলু সংগ্রহের ৬০ দিন আগে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার এর সাথে গোড়া বাঁধানোর ব্যবস্থা করুন।
ময়মনসিংহ অঞ্চল (জেলাসমূহ: জামালপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা এবং শেরপুর)
গম
পর্যায়:বপন
বর্তমান আবহাওয়া বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল, অনুমোদিত জাতের গম বীজ বপন করুন।
উপযুক্ত জো অবস্থায় বপনের জন্য জমি তৈরি করুন।
শেষ চাষের পূর্বে হেক্টর প্রতি ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোষ্ট সার প্রয়োগ করুন সেই সাথে যথাক্রমে ১৫০ কেজি ইউরিয়া,১৩৫ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ১১০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি বরিক এসিড বেসাল ডোজ হিসাবে জমিতে প্রয়োগ করুন।
ধান আমন
পর্যায়:পরিপক্ক থেকে কর্তন
শতকরা ৮০ ভাগ ধান পরিপক্ক হলে রৌদ্রজ্জ্বল দিনে ধান কর্তন করুন।
ফসল সংগ্রহের ১৫ দিন আগে জমি থেকে পানি নিষ্কাশন করে ফেলুন।
ধান বোরো
পর্যায়:বীজতলা
বোরো ধানের বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নিন| উঁচু জায়গায় বীজতলা তৈরি করুন এবং জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন। সমবায়ভিত্তিক বীজতলা করা যেতে পারে।
অনুমোদিত জাতের বীজ ব্যবহার করুন।
বীজতলার চারা হলুদ হয়ে গেলে প্রতি শতকে ২৮৩ গ্রাম হারে ইউরিয়া প্রয়োগ করুন। ইউরিয়া প্রয়োগে সমাধান না হলে প্রতি শতকে ৪০০ গ্রাম জিপসাম প্রয়োগ করুন।
সবজি
আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য কীড়াসহ আক্রান্ত ডগা কেটে ধ্বংস করুন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার বংশবৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শশা জাতীয় সবজিতে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য হেক্সাকোনাজল বা ম্যানকোজেব গ্রুপের বালাইনাশক প্রয়োগ করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় শিম ও বাঁধাকপিতে জাব পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। অনুমোদিত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
সেচ প্রয়োগ করুন।
উদ্যান ফসল
কলার পাতা ও ফলের বিটল পোকা থেকে রক্ষা করার জন্য মোচা থেকে কলা বের হওয়ার আগেই ছিদ্রযুক্ত পলিথিন দিয়ে কলার কাঁদি ব্যাগিং করে দিতে হবে।
বর্তমান আবহাওয়ায় পেয়ারায় ছাতরা পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০৫ গ্রাম গুড়া সাবান মিশিয়ে স্প্রে করুন।
বর্তমান আবহাওয়ায় নারিকেল গাছে মাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। আক্রমণ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তারপর আক্রান্ত গাছ এবং আশে পাশের কম বয়সী গাছে যে কোন মাকড় নাশক যেমন ওমাইট ৫৭ ইসি ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু
গবাদি পশুকে কৃমিনাশক না দেওয়া থাকলে কৃমি নাশক দিন।
গবাদি পশুর বয়স ও শারীরিক সুস্থতার ভিত্তিতে টিকা প্রদান করুন।
গোয়াল ঘরের চালা ও মেঝে পরিষ্কার রাখুন।
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হাঁসমুরগী
যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসার জন্য দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মুরগীর খোয়াড়ে সন্ধ্যার পর ১-২ ঘণ্টা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব (১০০ ওয়াট বা এর বেশি) জ্বালিয়ে রাখলে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ বালাই কমে যাবে।
মৎস্য
শীতকালে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে খাবার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।
পুকুর শুকিয়ে তলদেশের কালো/পচা কাদা অপসারণ করুন।
পুকুরের পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকলে মেরামত করে নিন।
•মাছের রোগবালাই দেখা দিলে বা কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি না হলে নিকটস্থ উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করুন।
বাৎসরিক পুকুর হলে সব মাছ আহরণ করে পরবর্তী বছরের জন্য পুকুর প্রস্তুতি শুরু করুন।
শীতের শুরুতে প্রতি শতাংশে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করলে মাছের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আলু
পর্যায়:
রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর জাত ভেদে হেক্টর প্রতি ১৬০-১৭৫ কেজি ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করার জন্য চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হলো।
রোপণের ৪০-৪৫ দিন পর ২য়বার আলুর জমিতে সেচ প্রদানের জন্য চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হলো।