এক নজরে লালশাক চাষ
উন্নত জাতঃ বারি লাল শাক-১, আলতাপাতি ইত্যাদি সারাবছর চাষ উপযোগী।
পুষ্টিগুনঃ প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপযোগী লালশাকে জলীয় অংশ- ৮৮.০ গ্রাম, খনিজ পদার্থ- ১.৬ গ্রাম, খাদ্যশক্তি- ৪৩ কিলোক্যালোরি, আমিষ- ৫.৩ গ্রাম, চর্বি- ০.১ গ্রাম, শর্করা- ৫.০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ৩৭৪ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন- ১১৯৪০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১- ০.১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২- ০.১৩ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি- ৪৩ মিলিগ্রাম রয়েছে।
বপনের সময়ঃ সারাবছর বিশেষত শীতকালে।
চাষপদ্ধতিঃ মাটির প্রকারভেদে ৪-৬টি চাষ ও মই দিতে হবে। প্রথম চাষ গভীর হওয়া দরকার। এতে সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাজনক, পরিচর্যা সহজ এবং সেচের পানির অপচয় কম হয়। সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। সরাসরি বীজ বুনলে, লাইন থেকে লাইন ১৫ ইঞ্চি এবং চারা থেকে চারা ৮-১০ ইঞ্চি দূরে লাগাতে হবে।
বীজের পরিমানঃ শতক প্রতি ৮-১০ গ্রাম।
সার ব্যবস্থাপনাঃ
সারের নাম | শতক প্রতি সার | হেক্টর প্রতি সার |
জৈব/ গোবর সার | ৪০ কেজি | ১০ টন |
ইউরিয়া | ৮০০ গ্রাম | ২০০কেজি |
টিএসপি | ৪০০ গ্রাম | ১০০কেজি |
এমওপি | ৬০০ গ্রাম | ১৫০ কেজি |
টিএসপি সারের বদলে ডিএপি সার দিলে প্রতি কেজি ডিএপি সারের জন্য ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া (হেক্টর প্রতি) কম দিবেন। এলাকা বা মৃত্তিকাভেদে সারের পরিমাণে কম-বেশি করুন।
পোকামাকড়ঃ
রোগবালাইঃ
সতর্কতাঃ বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন। ব্যবহারের সময় নিরাপদ পোষাক পরিধান করুন। ব্যবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবেনা। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে ৭ থেকে ১৫দিন পর বাজারজাত করুন।
আগাছাঃ সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা বাছাই। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।
সেচঃ শুষ্ক মৌসুমে এক সপ্তাহ পর পর সেচ দিতে হবে। নতুবা শাক খসখসে হয়ে যাবে।
আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ খরা দেখা দিলে জমিতে প্রয়োজনীয় সেচের ব্যবস্থা করা। জমির পানি বের করার জন্য নালা তৈরি ও মেরামত করে রাখুন।
ফলনঃ জাতভেদে শতক প্রতি ফলন শাক ৪০- ৫৬ কেজি এবং বীজ ১.৮-২.২ কেজি।
সংগ্রহঃ বীজ বোনার ২০-২৫ দিন পর থেকে শাক বিপননের উপযোগী হয়।