বরবটি এর বিস্তারিত তথ্য
বরবটি এর জাতের তথ্য
১) জাতের নাম : বারি বরবটি-১
জনপ্রিয় নাম : বারি বরবটি-১
উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)
গড় জীবনকাল প্রায় (দিন): ২১০
ফলনের গুণগত বৈশিষ্ট্য : রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম হয়।
জাতের ধরণ : উফশী
জাতের বৈশিষ্ট্য: প্রতি গাছে বরবটির ওজন ৩৫০-৪০০ গ্রাম। গাছ গাঢ় সবুজ রংয়ের হয়। প্রতিটি গাছে ৬০-৭০ টি বরবটি ধরে এবং পাকার পূর্বক্ষণ পর্যন্ত নরম থাকে, খেতে সুস্বাদু। দেশের সব অঞ্চলে চাষ করা যায়।
উচ্চতা (ইঞ্চি) : ১৮
শতক প্রতি ফলন (কেজি) : ৩০ - ৬০
হেক্টর প্রতি ফলন (টন) : ১০–১২
প্রতি শতক বীজতলায় বীজের পরিমান : ১০০ - ১২৫ গ্রাম
উপযোগী ভূমির শ্রেণী : মাঝারি উচু
উপযোগী মাটি : দোআঁশ, বেলে-দোআঁশ
উৎপাদনের মৌসুম : রবি
বপনের উপযুক্ত সময় :ফাল্গুন-আশ্বিন
ফসল তোলার সময়: বপনের ৬০-৭০ দিন পর
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : বরবটির পাউডারী মিলডিউ
তথ্যের উৎস: কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ২০১৭।
২) জাতের নাম : ভেগরনাটকী
জনপ্রিয় নাম : ভেগরনাটকী
উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান : বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)
গড় জীবনকাল প্রায় (দিন): ২১০
জাতের ধরণ : উফশী
জাতের বৈশিষ্ট্য: প্রতি গাছে বরবটির ওজন ৩৫০-৪০০ গ্রাম।গাছ গাঢ় সবুজ রংয়ের হয়। প্রতিটি গাছে ৬০-৭০ টি বরবটি ধরে এবং পাকার পূর্বক্ষণ পর্যন্ত নরম থাকে, খেতে সুস্বাদু। দেশের সব অঞ্চলে চাষ করা যায়।
উচ্চতা (ইঞ্চি) : ১৬-১৮
শতক প্রতি ফলন (কেজি) : ৩০ - ৬০
হেক্টর প্রতি ফলন (টন) : ৯-১০
প্রতি শতক বীজতলায় বীজের পরিমান : ১০০ - ১২৫ গ্রাম
উপযোগী ভূমির শ্রেণী : মাঝারি উচু
উপযোগী মাটি : দোআঁশ, বেলে-দোআঁশ
উৎপাদনের মৌসুম : রবি
বপনের উপযুক্ত সময় :ফাল্গুন-আশ্বিন
ফসল তোলার সময় :বপনের ৬০-৭০ দিন পর
তথ্যের উৎস :কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ২০১৭।
বরবটি এর পুষ্টিমানের তথ্য
পুষ্টিমান: বরবটিতে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ০.১৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ থাকে। এছাড়াও বরবটির অন্যান্য পুষ্টিগুন ও রয়েছে যেমন, ০.৮ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৩.৮ গ্রাম আঁশ, ৫০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৩ গ্রাম আমিষ, ৫.৯ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ৯ গ্রাম শর্করা ইত্যাদি পাওয়া যায়।
তথ্যের উৎস : কৃষি ডাইরি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, ২০১৭।
বরবটি এর চাষপদ্ধতির তথ্য
বর্ণনা : ৪–৫ টি চাষ ও মই দিয়ে ভালভাবে জমি তৈরি করতে হয়।
চাষপদ্ধতি: প্রতি মাদায় ৩-৪টি বীজ ২.০- ২.৫ সেমি গভীরে পুঁতে ঢেকে দিন। ১৪-১৫ দিনে মাদাপ্রতি ২ টি সুস্থ ও সবল চারা রেখে বাকি চারা তুলে ফেলুন বা না গজানো মাদায় বীজ বনুন বা চারা রোপণ করুন। অথবা তৈরি মাদায় সার দেবার ৭-১০দিন পর ১৫-১৬ দিনের গজানো সুস্থ ও সবল ২টি চারা রোপণ করুন ও গোড়ায় ঝাঁঝর দিয়ে পানি দিন।
বীজ শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন জমি শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
তথ্যের উৎস : কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ২০১৭।
বরবটি এর মাটি ও সার ব্যবস্থাপনার তথ্য
মৃত্তিকা : সব ধরনের মাটি উপযেযোগী। তবে বর্ষাকালে পানি জমে না এমন উঁচু জমি নির্বাচন করুন।
মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগারের ঠিকানা: মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
সার পরিচিতি : সার পরিচিতি বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
ভেজাল সার চেনার উপায় : ভেজাল সার শনাক্তকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
ভেজাল সার চেনার উপায় ভিডিও
ফসলের সার সুপারিশ :
সারের নাম | শতক প্রতি সার | হেক্টর প্রতি সার |
কম্পোস্ট | ১.৫ কেজি | ১০ টন |
ইউরিয়া | ১০০ গ্রাম | ৪৫ কেজি |
টিএসপি | ৩৬০ গ্রাম | ৯০ কেজি |
পটাশ | ২৪০ গ্রাম | ৬০ কেজি |
জিপসাম | ২০ গ্রাম | ৫ কেজি |
অনলাইন সার সুপারিশ বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
শেষ চাষের সময় সম্পূর্ণ গোবর সার এবং জিপসাম সবটুকু ছিটিয়ে জমিতে প্রয়োগ করে চাষ দিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বীজ বপন বা চারা রোপণের ৪-৫ দিন আগেই উরিয়া ও পটাশ সারের অর্ধেক এবং টিএস পি সারের সবটুকু একত্রে ছিটিয়ে প্রয়োগ করে মাদার মাটির সাথে (৪ ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত) কোদালের দ্বারা হালকাভবে কুপিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। বপন/রোপণের ৩০ দিন পর বাকি অর্ধেক ইউরিয়া এবং পটাশ সার মাদায় উপরি প্রয়োগ করতে হবে। শিমের জমিতে সার উপরি প্রয়োগের কাজ দুই কিস্তিতে করতে হয়। প্রথম কিস্তি চারাগজানোর এক মাস পর এবং দ্বিতীয় কিস্তি গাছে দুই-চারটি ফুল ধরার সময়। প্রতি কিস্তিতেমাদা প্রতি ২৫ গ্রাম ইউরিয়া ও ২৫ গ্রাম এমওপি সার গাছের গোড়ার চারদিকে (গোড়া থেকে ৪-৫ ইঞ্চি দূরে) উপরি প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সারপ্রয়োগের সময় মাটিতে রসের অভাব হলে ঝাঁঝরি দিয়ে পানি সেচ দিতে হবে।
শেষ চাষের সময় গোবর/ জৈব সার ১০টন, জিপসাম ৫ কেজি, বোরিক এসিড ৫ কেজি, জমিতে সমানভাবে ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিন। চারা রোপণের ৪-৫ দিন আগে মাদার ৪-৫ ইঞ্চি গভীর র্যন্ত কোপিয়ে টিএসপি/ ডিএপি ৯০ কেজি ১২.৫ কেজি ইউরিয়া ও ৩০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করুন। পুনরায় চারা রোপণের ৩০ দিন পর মাদায় ১২.৫ কেজি ইউরিয়া ও ৩০ কেজি এমওপি সার মাদায় পার্শ প্রয়োগ করুন। প্রদত্ত ১ কেজি ডিএপি সারে সমমানের টিএসপি ও ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া দেবার কাজ হয়। তাই সে পরিমাণ ইউরিয়া কম দিন। মাটির অবস্থা ভেদে ও পরীক্ষা করে সার দিলে মাত্রা কম বেশি করুন।
তথ্যের উৎস : কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করন, সেপ্টেম্বর, ২০১৭।
বরবটি এর সেচের তথ্য
সেচ ও নিকাশ পদ্ধতি: কোন অবস্থাতেই গাছের গোড়ায় পানি যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে জমিতে প্রয়োজন মত সেচ দিতে হবে। মাঝে মাঝে মাটি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। এছাড়া গাছ যখন ৬-৮ ইঞ্চি লম্বা হবে তখন মাদায় গাছের গোড়ার পাশে বাঁশের ডগা মাটিতে পুঁতে বাউনির ব্যবস্থা করতে হবে।
লবণাক্ত এলাকায় সেচ প্রযুক্তি: কলসি দিয়ে ড্রিপ সেচ দিন। কলসির নিচে ড্রিল মেশিন দিয়ে ছোট ছিদ্র করে তাতে পাটের আঁশ প্রবেশ করাতে হবে। কলসি মাদার মাঝখানে এমন ভাবে বসাতে হবে যেন ছিদ্র ও আঁশ মাটির নিচে থাকে। কলসির ছিদ্রের সাথে যুক্ত পাটের আঁশ আস্তে আস্তে গাছের গোঁড়ায় পানি সরবরাহ করবে। মাদা সবসময় ভিজা থাকবে ফলে লবনাক্ত পানি উপরে উঠে আসবেনা।
তথ্যের উৎস : দক্ষিণাঞ্চলের উপযোগী কৃষি প্রযুক্তি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, নভেম্বর, ২০১৩।
বরবটি এর আগাছার তথ্য
১) আগাছার নাম : হাতিসুঁড়
আগাছা জন্মানোর মৌসুম : খরিফে জম্মায়। সাধারণত মে-জুন/ বৈশাখ–জ্যৈষ্ঠ মাসে বীজ অংকুরিত হয়। অক্টোবর নভেম্বর/ আশ্বিন কার্তিক মাসের দিকে ফুল হয়।
প্রতিকারের উপায় :জমি নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন। সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা দমন করতে হবে। সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র নিড়ানি দিয়ে আগাছা দমন করতে হবে।
তথ্যের উৎস: দক্ষিণাঞ্চলের উপযোগী কৃষি প্রযুক্তি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, নভেম্বর, ২০১৩।
২) আগাছার নাম : মুথা / ভাদাইল
আগাছা জন্মানোর মৌসুম : খরিফে বেশি বাড়ে। আষাঢ় থেকে কার্তিক/ জুন থেকে অক্টোবরের মাঝে ফুল ফোটে ও বীজ পরিপক্ক হয়।
প্রতিকারের উপায় :সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা দমন করুন। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে। প্রতি বর্গমিটারে রবি মৌসুমে ৫০-৬০ টি এবং খরিফ মৌসুমে ৪০-৫০ টি চারা রাখা উত্তম। ৪০ দিন আগাছা মুজত রাখুন।
তথ্যের উৎস :দক্ষিণাঞ্চলের উপযোগী কৃষি প্রযুক্তি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, নভেম্বর, ২০১৩।
৩) আগাছার নাম : শিয়ালমাতরা
আগাছা জন্মানোর মৌসুম : রবি মৌসমের। বীজ দিয়ে বংশ বিস্তার ঘটে।
প্রতিকারের উপায়: জমি নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন। সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা দমন করতে হবে। সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র নিড়ানি দিয়ে আগাছা দমন করতে হবে।
তথ্যের উৎস :দক্ষিণাঞ্চলের উপযোগী কৃষি প্রযুক্তি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, নভেম্বর, ২০১৩।
৪) আগাছার নাম : শিয়াল কাঁটা
আগাছা জন্মানোর মৌসুম : বীজ দিয়ে বংশ বিস্তার ঘটে। শীতের শুরুতে চারা জম্মায়, বসন্তে তথা ফাল্গুন-চৈত্রে ফুল ফোটে এবং চৈত্র-বৈশাখে বীজ পাকে।
প্রতিকারের উপায়: জমি নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন। সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা দমন করতে হবে। সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র নিড়ানি দিয়ে আগাছা দমন করতে হবে।
তথ্যের উৎস: দক্ষিণাঞ্চলের উপযোগী কৃষি প্রযুক্তি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, নভেম্বর, ২০১৩।
বরবটি এর আবহাওয়া ও দুর্যোগ তথ্য
বাংলা মাসের নাম : আষাঢ়
ইংরেজি মাসের নাম : জুন
ফসল ফলনের সময়কাল : সারা বছর
দুর্যোগের নাম : অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতা
দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতি: জমির পানি বের করার জন্য নালা তৈরি ও মেরামত করে রাখুন।
কৃষি আবহাওয়ার তথ্য পেতে ক্লিক করুন
দুর্যোগকালীন/দুর্যোগ পরবর্তী প্রস্তুতি: জমির পানি বের করার জন্য নালা কেটে দিন।
প্রস্তুতি : পানি বের করে দেয়ার জন্য নালা তৈরি ও মেরামত করে রাখুন।
তথ্যের উৎস: দক্ষিণাঞ্চলের উপযোগী কৃষি প্রযুক্তি, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, নভেম্বর, ২০১৩।
বরবটি এর পোকার তথ্য
১) পোকার নাম : জাব পোকা
পোকার স্থানীয় নাম : : জাব পোকা
পোকা চেনার উপায় : খুব ছোট সবুজাভ সাদা, নরম দেহ বিশিষ্ট
ক্ষতির ধরণ : পাতা, ফুল ও কচি ফলের রস চুষে খায়। তাছাড়া এই পোকা হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ ছড়ায়।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা , ফল , ফুল
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : পূর্ণ বয়স্ক , নিম্ফ
ব্যবস্থাপনা :আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার বা এমিটাফ অথবা টিডো ৭-১০ মি.লি. (২ মুখ) বা কনফিউডর ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে) ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করুন। স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বালাইনাশকের বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন
বালাইনাশক ব্যবহারের সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি : পরিছন্ন চাষাবাদ করুন। নিয়মিত ফসল পর্যবেক্ষন করতে হবে।
অন্যান্য : সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায় অথবা আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়। এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
তথ্যের উৎস :কৃষি প্রযুক্তি হাতবই, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৬ষ্ঠ সংস্করণ, সেপ্টেম্বর, ২০১৭। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
২) পোকার নাম : পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা
পোকার স্থানীয় নাম : : পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা
পোকা চেনার উপায় : পূর্ণবয়স্ক পোকা বাদামি রঙের। কীড়ার মাথা বাদামি এবং দেহ হলুদাভ থেকে হালকা সবুজ রঙের।
ক্ষতির ধরণ : খুদে কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : লার্ভা , পূর্ণ বয়স্ক
ব্যবস্থাপনা :অতি আক্রমণ না হলে রাসায়নিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন নেই। অতি আক্রমণে সাইপারমেথরিন জাতীয় বালাইনাশক (যেমন কট বা ম্যাজিক ১০ মিলি লিটার প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে) সকালের পরে সাঁজের দিকে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করুন। স্প্রের পুর্বে খাবারযোগ্য লতা ও ফল পেড়ে নিন। স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সবজি বিষাক্ত থাকবে।
বালাইনাশকের বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন
বালাইনাশক ব্যবহারের সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :আগাম বীজ বপন করুন। সুষম সার ব্যবহার করুন। সঠিক দুরত্বে চারা রোপন করুন।
অন্যান্য : পাতায় ডিম দেখলে তা তুলে ধ্বংস করুন। পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারুন।
তথ্যের উৎস : সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন, কীটতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
৩) পোকার নাম : কাঁঠালে পোকা
পোকার স্থানীয় নাম : : কাঁঠালে পোকা
পোকা চেনার উপায় : ছোট ডিম্বাকার ও লালচে বা হলদে রঙ্গের শক্ত আবরণের পোকা। কীড়া হলদে রঙ্গের ও চ্যাপ্টা, লম্বাটে।
ক্ষতির ধরণ : পূর্ণ বয়স্ক বিটল ও গ্রাব উভয়েই পাতা খায়। আক্রান্ত পাতা ঝাঁঝরা করার ফলে পাতা শুকিয়ে যায় এবং ঝরে পড়ে।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, ফলের বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : লার্ভা , পূর্ণ বয়স্ক
ব্যবস্থাপনা : আক্রমণ বেশি হলে ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক (যেমন সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২০ মিলিলিটার প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে) ১০ দিন পর পর ২-৩ বার ভালভাবে স্প্রে করুন। স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাবেন না বা বিক্রি করবেন না। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বালাইনাশকের বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন