এক নজরে রসুন চাষ
উন্নত জাতঃ বারি রসুন -১, বারি রসুন-২ এবং বারি রসুন-৩, বারি রসুন -৪।
পুষ্টিগুনঃ রসুনের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। নিয়মিত রসুন খেলে রক্তচাপ ও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে। রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার এর বিরূদ্ধে কাজ করে।
বপনের সময়ঃ রবি মৌসুমে মধ্য অক্টোবর-নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ উপযুক্ত সময় ।
চাষপদ্ধতি: পানি জমে না এরকম দোআঁশ মাটিতে নালা তৈরি করে তাতে রসুনের কোয়া রোপণ করা হয়। লাইনে রসুন রোপণের জন্য সাধারণত ৪ মিটার লম্বা ও ১.৫ মিটার প্রস্থের ব্লক তৈরি করা হয়। চার ইঞ্চি দূরত্বের লাইনে ৩-৪ ইঞ্চি দূরে দূরে ১ (এক) ইঞ্চি গভীর নালায় রসুনের কোয়া লাগাতে হবে। লাগানোর সময় কোয়ার অগ্রভাগ উপরের দিকে রেখে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
বীজের পরিমানঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ২-৩ কেজি রসুন।
সার ব্যবস্থাপনাঃ
সারের নাম | শতকপ্রতিসার | হেক্টর প্রতি সার |
কম্পোস্ট | ২০ কেজি | ৫ টন |
ইউরিয়া | ৮০০ গ্রাম | ২০০ কেজি |
টিএসপি | ১ কেজি | ২৫০ কেজি |
পটাশ | ১.৫ কেজি | ২৫০ কেজি |
জিপসাম | ৪০০ গ্রাম | ১১০ কেজি |
সম্পূর্ণ গোবর, টিএসপি, জিপসাম, বোরণ এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও অর্ধেক পটাশ সার জমি তৈরির সময় মাটির সাথে প্রথমেই মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া ও পটাশ সার দুই কিস্তিতে সমান ভাগে রসুন বপনের ২৫ দিন এবং ৫০ দিন পর দিতে হবে। এছাড়া জমিতে ছাই প্রয়োগ করলে মাটি আলগা থাকে এবং ফলন বেশি হয়।
সেচঃ জমিতে ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার মোটা করে শুকনা কচুরিপানা বা ধানের খড়ের স্তর দিয়ে মালচ করলে রসুনের ফলন ভালো হয়। এক্ষেত্রে বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না। মালচ ছাড়া চাষ করলে জমির প্রকারভেদে ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। সেচ দেয়ার পর জমি জো আসার পর অবশ্যই চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। সেচ দেয়ার ৩০-৬০ মিনিট পর সেচ নালা খুলে দিতে হবে। রসুন সংগ্রহের ৩ সপ্তাহ পূর্বেসেচ বন্ধ রাখতে হবে।
সেচঃ জমিতে ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার মোটা করে শুকনা কচুরিপানা বা ধানের খড়ের স্তর দিয়ে মালচ করলে রসুনের ফলন ভালো হয়। এক্ষেত্রে বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না। মালচ ছাড়া চাষ করলে জমির প্রকারভেদে ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে। সেচ দেয়ার পর জমি জো আসার পর অবশ্যই চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। সেচ দেয়ার ৩০-৬০ মিনিট পর সেচ নালা খুলে দিতে হবে। রসুন সংগ্রহের ৩ সপ্তাহ পূর্বেসেচ বন্ধ রাখতে হবে।
আগাছাঃ জমি নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন । সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র নিড়িয়ে আগাছা বাছাই। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।চারা অবস্থা থেকে রসুন গঠনের পূর্ব পর্যন্ত ২ থেকে ৩ বার নিড়ানি দিয়ে জমির আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ অতি বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি জমে গেলে নালা তৈরি করে তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
পোকামাকড়ঃ
রোগবালাইঃ
সতর্কতাঃ বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন। ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যাবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫ দিন পর বাজারজাত করুন। বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যাবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না।
ফলনঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ফলন ২০-৪০ কেজি।
সংরক্ষনঃ মাটি ঝেড়ে পরিষ্কার করে নিতে হয়। এরপর ছায়ায় ৩-৪ দিন শুকিয়ে নিন। রোদে শুকালে রসুন নরম হয়ে যেতে পারে। তারপর কান্ড থেকে রসুন কেটে গুদামজাত করা হয়। শুকনো বীজ রসুন আলো বাতাস চলাচলযুক্ত ঘরের মাচায় বেনি করে ঝুলিয়ে রাখুন। এতে রসুন ভাল থাকে। বেশি পরিমাণ হলে শুকিয়ে ঠান্ডা করে চটের নেটের বস্তায় ভরে রাখুন। এছাড়া বেশি পরিমাণে শুকনো রসুন হিমাগারে ০-২ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় শতকরা ৬০-৭০% আর্দ্রতায় বেশি দিন সংরক্ষণ করুন।