এক নজরে গোল মরিচ চাষ
উন্নত জাতঃ জৈন্তা।
পুষ্টিগুনঃ গোল মরিচে আছে টনিক এসিড। প্রতি ১০০ গ্রাম গোল মরিচে ১০.৫১ গ্রাম জলীয় অংশ, ১০.৯৫ গ্রাম আমিষ, ৩.২৬ গ্রাম চর্বি, ৩.৫ গ্রাম আঁশ, ৬৪ .৮১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট আছে।
বপনের সময়ঃ মে-জুন (বৈশাখ- জ্যৈষ্ঠ) উপযুক্ত সময় ।
চাষপদ্ধতি: বড় কোন গাছের গোড়া থেকে এক মিটার দূরে গোলমরিচের চারা রোপণের জন্য গর্ত করা যায়। গর্তের মাপ হবে সব দিক দিয়ে আধা মিটার, গভীরতাও একই। গর্ত থেকে তোলা মাটির তিন ভাগের এক ভাগ মাটি বাদ দিয়ে দিতে হবে। সেই মাটি পূরন করতে হবে বিভিন্ন জৈব ও রাসায়নিক সার দিয়ে। এ জন্য প্রতি গর্তে জৈব সার ১০ কেজি, রাসায়নিক সার ২০ কেজি, খৈল ৫০০ গ্রাম, হাড়ের গুঁড়া ২০০ গ্রাম, এমওপি সার ১৫০ গ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ৫০ গ্রাম, টিএসপি ১৫০ গ্রাম গর্তের মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরে রেখে দিতে হবে।
বীজের পরিমানঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ৬ - ৭ টি।
সার ব্যবস্থাপনাঃ
সারের নাম | শতক প্রতি সার |
কম্পোস্ট | ১০ কেজি |
ইউরিয়া | ৩০০ গ্রাম |
টিএসপি | ১১০ গ্রাম |
পটাশ | ৪৫০ গ্রাম |
প্রতি গর্তে ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১১০ গ্রাম টিএসপি ও ৪৫০ গ্রাম পটাশ দিতে হয়। তবে এ পরিমাণ সার তৃতীয় বছর হতে দিতে হবে। এ পরিমাণের ১/৩ ভাগ ১ম বছর এবং ২/৩ ভাগ দ্বিতীয় বছরে দিতে হবে। সার সাধারণত বছরে দুবারে দিতে হয়। একবার মে-জুন মাসে ও পরের বার আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে দিতে হয়। এছাড়া প্রতি বছর প্রতি গর্তে মে-জুন মাসে ১০ কেজি পঁচা গোবর ও প্রতি ১ বছর অন্তর-অন্তর প্রতি গর্তে ৬০০ গ্রাম চুন দিতে হবে।
সেচঃ ভালো ফসল পাওয়ার জন্য গোলমরিচের জমিতে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। বৃষ্টি বা অতিরিক্ত সেচের পানি জমিতে জমতে দিবেন না।
আগাছাঃ জমি নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন । সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র নিড়িয়ে আগাছা বাছাই। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।চারা অবস্থা থেকে রসুন গঠনের পূর্ব পর্যন্ত ২ থেকে ৩ বার নিড়ানি দিয়ে জমির আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ অতি বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি জমে গেলে নালা তৈরি করে তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
পোকামাকড়ঃ
রোগবালাইঃ
সতর্কতাঃ বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন। ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যাবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫ দিন পর বাজারজাত করুন। বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যাবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবে না।
ফলনঃ জাত ভেদে শতক প্রতি ফলন ৮ - ৯ কেজি।
সংরক্ষনঃ ঠান্ডা ও বাতাস চলাচল করা জায়গাতে ফল ঘষা বা চাপ খায় না এমন ভাবে সংরক্ষণ করুন। বীজ বেশিদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে নিমের তেল মিশিয়ে রাখতে পারেন। কিছুদিন পর পর বীজ হালকা রোদে শুকিয়ে নিবেন।