এক নজরে মাসকলাই চাষ
পুষ্টিগুনঃ মাসকলাই ডাল সহজে হজম হয় এবং এতে প্রচুর আমিষ রয়েছে। মাসকলাই ডালের পুষ্টিগুন নানাবিধ। যেমনঃ খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি।
উন্নত জাতঃ বারি মাস-১, বারি মাস-২, বারি মাস-৩, বিনা মাস-১ ইত্যাদি খারিফ মৌসুমে চাষ উপযোগী।
বপনের সময়ঃ জাতভেদে খরিফ-১=মধ্য-ফাল্গুন থেকে ৩০ ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারির শেষ হতে মধ্য-মার্চ) এবং খরিফ-২ মৌসুমে ১ ভাদ্র থেকে ১৫ ভাদ্র (আগস্টের ১৫-৩১)। তবে মধ্য-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বপন করা যায়।
চাষপদ্ধতিঃ মাটির প্রকার ভেদে ৪-৬ টি চাষ ও মই দিতে হবে। প্রথম চাষ গভীর হওয়া দরকার। এতে সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাজনক, পরিচর্যা সহজ, এবং সেচের পানির অপচয় কম হয়। সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। সরাসরি বীজ বুনলে, লাইন থেকে লাইন ১২ ইঞ্চি এবং চারা থেকে চারা ৪ ইঞ্চি দূরে লাগাতে হবে।
বীজের পরিমানঃ প্রতি শতকে ১৪০-১৬০গ্রাম।
সার ব্যবস্থাপনাঃ প্রতি শতকে ৩৫ কেজি পচা গোবোর অথবা কম্পোস্ট সার, ইউরিয়া ১৪০ গ্রাম, টিএসপি ৩৫০ গ্রাম এবং এমপি ১৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি কেজি বীজের জন্য ৯০ গ্রাম হারে অনুমোদিত অণুজীব সার প্রয়োগ করতে হবে। অনুজীব সার দিলে ইউরিয়া সার দেয়ার প্রয়োজন নেই।
পোকামাকড়ঃ
রোগবালাইঃ
সতর্কতাঃ বালাইনাশক/কীটনাশক ব্যবহারের আগে বোতল বা প্যাকেটের গায়ের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং নির্দেশাবলি মেনে চলুন। ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা পোষাক পরিধান করুন। ব্যবহারের সময় ধূমপান এবং পানাহার করা যাবেনা। বালাইনাশক ছিটানো জমির পানি যাতে মুক্ত জলাশয়ে না মেশে তা লক্ষ্য রাখুন। বালাইনাশক প্রয়োগ করা জমির ফসল কমপক্ষে সাত থেকে ১৫দিন পর বাজারজাত করুন।
আগাছাঃ জমি নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন। জমি গভীরভাবে চাষ করতে হবে।চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।
সেচঃ খরিফ মৌসুমে বীজ বপনের আগে খরা হলে সেচ দিয়ে জমিতে জো আসার পর বীজ বপন করতে হবে। জমি একেবারেই শুকিয়ে গেলে হালকা সেচ দিয়ে নিড়ানি দিন।
আবহাওয়া ও দুর্যোগঃ খরা দেখা দিলে জমিতে প্রয়োজনীয় সেচের ব্যবস্থা করা। জলাদ্ধতা অসহনীয় বিধায় নালা তৈরির ব্যবস্থা নিন।
ফলনঃ জাতভেদে শতক প্রতি ফলন ৩.৫- ৪.৫ কেজি।
সংরক্ষনঃ দানা, ডাল বা ডালের ভাঙ্গা/গুড়া প্লাস্টটিকের ড্রাম/পলিথিন ব্যাগ/ পূর্ণ করে বায়ুরোধী করে ভরে রাখুন। লেভেল বে চিহ্ন দিয়ে রাখুন।