আখ নাতিশীতোষ্ণমন্ডলীয় ফসল এবং বৃদ্ধির জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া প্রয়োজন হয়। যেহেতু এটি বছরব্যাপী জন্মে,তাই ইহা সবধরনের আবহাওয়া ও ঋতু র্বৈচিত্রের মোকাবেলা করে থাকে।
- অংকুরোদগম থেকে বর্ধিষ্ণু পর্যায়ে পরিমিত তাপমাত্রা ২৫-৩৫°সেন্ট্রিগ্রেড। পরিপক্কতা থেকে কর্তন পর্যন্ত কম তাপমাত্রা উত্তম (১২-১৪°সেন্ট্রিগ্রেড)। গাছের বৃদ্ধির জন্য পরিমিত মাটির তাপমাত্রা১৬-৩২°সেন্ট্রিগ্রেড।
- তাপমাত্রা ৩৭°সেন্ট্রিগ্রেডের উর্ধ্বে গাছের বৃদ্ধি ব্যহত করে। ডগার গোড়ায় পর্যাপ্ত আলো এবং উষ্ণতা কুশি গজানোর জন্য সহায়ক।
- রাতের তাপমাত্রা আখের বৃদ্ধির জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। কম আলো ইহার বৃদ্ধিতে ব্যহত করে।
- ভেজা এবং স্যাত-স্যাতে আবহাওয়া( আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮০-৮৫%) অংকুরোদগম থেকে বর্ধিষ্ণু পর্যায়ের জন্য সহায়ক। একইসাথে, দীর্ঘ দিন (গড় সূর্যলোক ৭-৯ ঘন্টা),খাটো রাত এবং পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ অধিক অংগজবৃদ্ধির জন্য উপযোগী। কম তাপমাত্রা ফুল আসাতে বাধাগ্রস্থ করে এবং অতি অল্প তাপমাত্রায় রসের গুনগতমান হ্রাস পায়।
- সূর্যের আলো স্বাভাবিকের থেকে অর্ধেক হলে আখের ফলন অর্ধেক হয়ে যায়।
- আখের জন্য বছরে ১২৫০-১৬৫০ মি.মি. বৃষ্টিপাত প্রয়োজন হয়। আখ বিস্তৃত গুচ্ছমূলীয় ফসল।
- উৎপাদন মৌসুমে মূলীয় অঞ্চলে পর্যাপ্ত রস সংরক্ষন করলে কাংখিত ফলন পাওয়া যায়।
- আখের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ৩০০-১০০০ মি.মি. পানির প্রয়োজন হয়।
- মাটির গড় তাপমাত্রা ১৬-৩২°সেন্ট্রিগ্রেড। রোপনের ২৭০ দিনের মধ্যে যদি মাটির আর্দ্রতা ৫০% কমে যায়, সেক্ষেত্রে সেচ প্রদান বাঞ্চনীয় এবং রোপনের ২৭০ দিন পর যদি মাটির আর্দ্রতা ৭৫% কমে যায়, সেক্ষেত্রে সেচ দেওয়া প্রয়োজন।
- বাতাসের প্রবল গতিবেগ (৬০কি.মি./ঘন্টা) আখের গাছতে ক্ষতিগ্রস্থ করে।