- গম মাঝারি তাপমাত্রায় এবং কম আর্দ্র থেকে আধা-শুষ্ক অবস্থায় ভালো জন্মে।
- ইহার চারা গজানো, বৃদ্ধি,দানা গঠন,পরিপক্কতা এবং পুষ্টিগুণের ব্যপকতা পরিবেশগত অবস্থার উপর নির্ভর করে।
- গম একটি নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ার ফসল। ইহা নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে এবং অব-উষ্ণঅঞ্চলে শীতকালে বা রবি মৌসুমে জন্মে।
- ইহার বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য দৈনিক পরিমিত গড় তাপমাত্রা ১৫-২০° সেন্টিগ্রেড।
- ৩০-৩৫° সে. থেকে অধিক তাপমাত্রা ফসলের সাধারণ কার্যক্রমে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ইহা তীব্র ঠান্ডা অবস্থা সহ্য করতে পারে। গমের বীজ অংকুরোদগমের সময় ঠান্ডা সহ্য করতে পারে, তবে অংগজ বৃদ্ধির জন্য ১৫-২০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা সর্বোত্তম ।
- গম উৎপাদনের জন্য সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩-৪.৫ ° সেন্টিগ্রেড, পরিমিত তাপমাত্রা ২৫-° সেন্টিগ্রেড বং সর্বাধিক তাপমাত্রা ৩০-৩২° সেন্টিগ্রেড থাকা অপরিহার্য। উচ্চ তাপমাত্রায় দ্রুত বৃদ্ধি এবং কুশি গজানো সময়কালে কার্যকর কুশির সংখ্যা, বৃদ্ধিহার, ডগার উচ্চতা, শীষ খাটো সহ-স্পাইকলেট সংখ্যা, নিষেক, দানার ওজন এবং গুণগতমান কম হয়।
- মাটির উচ্চ আর্দ্রতায় গম বীজের অংকুরোদগম, চারার বৃদ্ধি, দানার গঠন এবং বৃদ্ধি ভালো হয়।
- যদিও ইহা খরা সহিষ্ণু , তবে ডগার বৃদ্ধি থেকে শীষ আসার সময়ে অতিরিক্ত আর্দ্রতার প্রতি সংবেদনশীল।
- গম পাকার সময়ে শুস্ক রোদ্রজ্জোল দিন এবং রাতে অপেক্ষকৃত ঠান্ডা দানার আকার এবং গুনগতমান বৃদ্ধিতে সহায়ক।
- ইহার বৃদ্ধিকালে ৫০০-৮৭৫ মি.মি. বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন এবং জাত ও মৌসুমভেদে মোট পানি প্রয়োজন হয় ৪৫০-৫৫০ মি.মি.। চারা গজানোর থেকে দানা গঠনের সময় প্রতিদিনের ব্যয়িত পানির ব্যবহার ১.৭ -৮.৭ মি.মি., ফুল আসা থেকে দানা জমাট বাধা পর্যায় পর্যন্ত ব্যয়িত পানির ব্যবহার অধিক হয় যা ৬.২ মি.মি.।
- যে সমস্ত এলাকায় পানি সরবরাহ সীমিত, সেসব এলাকার জন্য গম ফসলের সংকটপূর্ণ অবস্থার তথ্য জানা আবশ্যক।
- ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেরীতে বীজ বপন করলে জমির আর্দ্রতা কমে যায় ফলে চারার সংখ্যা কম হয়।